জানায় আজি অশেষ প্রণতি
সৃজিয়াছেন যিনি এ বিশ্ব ধরিত্রী
কোথায় আছেন  অদৃশ্য পতি,
তব দ্বারে যে আমার মিনতি
তুচ্ছ আমি নগন্য অতি
তাহাতে নেই কাহারো ক্ষতি,
দেখেছি আমি স্বর্গের মুরতি
সেথায় যেন তব আলোর জ্যোতি;
অনেক রয়েছে তোমার কুদরতি।

বল আমারে এ কোন রীতি
মোর হৃদ্বয়ে কাহার স্মৃতি,
বল আমারে এ কোন নীতি
প্রশ্ন আজি তোমার প্রতি
কেন যে হেথায় এত দ্বিধান্নীতি?
ক্ষমা করো মোরে হয় যদি ভ্রান্তি
মুছে দিয়ো মোর সকল ক্লান্তি।

আজকের অনুভব অনুভূতির কথা
নিশিথ প্রহরের এই নিস্তব্ধতা
পাবে কি কাহারো একাত্মতা?
মম হৃদ্বয়ের আবেগ উছলতা
যেনগো নদীর দুকূল ছাফানো প্লাবণতা।
কখনো যদি দেয় কারেও দোলা
করে যদি কখনও আত্মভোলা
দক্ষীণা সমীর রইবে খোলা
সেদিন মম হৃদ্বয়ের এই ব্যকুলতা
ছড়িয়ে যাবে সকল বিশালতা
পাবে যে তখন যুগের অমরতা।

আজ নিদ নাহি মোর অাঁখি প্রাতে
বিজন ঘন এ বাদল রাতে,
বরষা নেমেছে আমার ধরাতে
বরষা ঝরিছে শারদ রাতে,
ভেসে যায় সব মায়ার স্রোতে
কোথায় চলেছি কাহার সাথে?
কে আছে মম এ আত্মাতে!
যাহা আছে সব আমার কাছে
সঁপিব সকলি আজ তাহার হাতে;
আজ নিদ নাহি মোর আঁখি প্রাতে
বিজন ঘন এ বাদল রাতে।

এস হে আমার প্রাণের অতিথি
জানায় তোমারে মায়ার প্রীতি,
উষার মত প্রদীপ জ্বালি
উদিলে জীবনে আলোর জ্যোতি
তব প্রভায় মম ভূবণ সমুজ্জলী।
হেমঝারি ভরি ওগো পূরনারী
ঢালোগো ঢালো তব মায়ারবারী
করেছি অনেক ভুল, অনেক ভ্রান্তি
তাহার লাগি ক্ষমা নিরবে মাগি;
চাইলে কখনো ইহার অতি
যদি হয় তাহাতে তোমার ক্ষতি
তুমি যে মম প্রাণের অদ্বিতী,
যতো দূরেই থাকোনা প্রাণোতি
মুছে ফেলনা সে পবিত্র সুখস্মৃতী
ভুলোনা যেন আমারে মিনতি।

===============

রচনাকাল ও স্থান: ৮ই ভাদ্র, ১৪০৫ বঙ্গাব্দ,
২৩শে আগষ্ট, ১৯৯৮ ইং,
আজিজ মহল্লা, মোহাম্মদপুর, ঢাকা।