বাসতে ভালো অনেক করে
পারিনি হায় তখন যারে
কেন গো আজ বারে বারে
পড়েছে মনে শুধুই তাঁরে?

একটু খানি চোখের দেখায়
দেখতে এ মন শুধু যে চাই
ভরেছে এ বুক বিরহ ব্যাথায়
তাহার ক্ষণিক অবহেলায়;
বক্ষে যে মোর দহন জ্বালায়
তাঁর নয়নে কি আছে তাই‍!

বেঁধেছে যেন স্বর্গ মায়ায়
সে বাঁধন মোর সকল হিয়ায়
মোর দেহেরই শিরায়-শিরায়
রক্তেরই কণা-বিকণাই
হৃদ্বয়ে মোর কাঁপন জাগায়।

আত্মা সে যে মোর জীবনে
আশার প্রদীপ এই ভূবনে
তাঁরে হারিয়ে বাঁচি কেমনে
এ ব্যাথা মোর সে না জানে।
অচেতন সে বিভোর ঘুমে
তাই বুঝি মোর অশ্রু ঝুরে,
বুঝি না এ কোন হলো বালাই
কেন আড়ালে সে লুকিয়ে পালায়?

বোঝে না কেন সে যে আমায়
এ অভিমান আমারে কাঁদায়
বাদল হয়ে অঝোর ধারায়।
থাকে সে কোন অচীনপুরে
খুঁজে মরি আজ ঘুরে ঘুরে
পাই যদিগো তারে ফিরে
দেখাবো তখন মোর হৃদ্বয় চীরে;
থাক যদি সে বিভোর ঘুমে
জাগাবো তারে নয়ন চুমে।

বিভোর ঘুমের অষ্টো প্রহর
-ফুরাবে যখন
হঠাৎ জেগে দেখবে তখন
জ্বলছে বুকে এ কোন দহন!
বিরহে তাহার ছিলাম যখন
কেমনে কেটেছে আমর সেই ক্ষণ
দিন কেটেছে কালের মত
রাত কেটেছে যুগের মতন।

থেকে থেকে শুধু আজ মনে হয়
আমার মতো এমন অসহায়
হেথায় বুঝি আর কেহ নাই?
দিন শেষে ঐ রাত্রি ঘনায়,
আমারও কি তব প্রতিক্ষায়
আশার তরণী ডুবিল নিরাশায়।

হু-হু করে ঐ বায়ু বয়ে যায়
শুনি আমি তার গোপন ভাষায়;
ওপার হতে ডাকে কে আমায়?
তাই শুধু আমি কেঁদে যায়
বিরহে তব আজ অবেলায়।
××××××××××××××××

রচনাকাল ও স্থান: ৬ই আশ্বিন, ১৪০৫ বঙ্গাব্দ,
২১শে সেপ্টেম্বর, ১৯৯৮ইং
সরকারী শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ, লক্ষ্মীবাজার, ঢাকা।