এ মন বড়ই দরিদ্র আমার
বাক চাতুর্যতা শুধু আছে তার
নেই কোন ধনৈশ্বর্য ভাষার;
তাই সে কল্পলোকের আঁধার-
হতে ভাবের ভাষা করে ধার।
এই ভাবে ভরা বাক্য অলঙ্কার
যখন হৃদয় হয় সহসা উতলা
তখন কেমনে সাজিয়ে বলা
আসলে আপনিই হয়ে যাই
সেসব শুনে তাই
হেসে কেন ওঠ তুমি অনামিকা প্রিয়ে?
অত্যুক্তির অপবাদ দিয়ে।
প্রিয় তব সম্মানে এই ভাষা
আপনিই আপনারে করে বিন্যস্ত
হয়ে ওঠে আপনায় সুসজ্জ্বিত;
বারে বারে তুমি তারে
পরিহাসে করে না লজ্জ্বিত।
তোমার আরতি অর্ঘ্যে
অত্যুক্তির ভাষা হেয়
অসম্মানে হয় যেন অশ্রদ্ধেয়।
যার নেই কোন আলো
তার চেয়ে মৌন ঢের ভালো।
তোমাতে কি অত্যুক্তি করনা বহন?
বহু প্রত্যাশায় যখন
দেখা মেলে তব;
তখন কি অদৃশ্য মায়ায়
তুমি মোরে বাঁধো
তাহা তো নহে সাধারণ-
প্রত্যেকের মতো।
কিছু অতিরিক্ত মায়া-মাধুর্য
তার মাঝে থাকে যে সংহত।
সে মায়ার অতি ভাষা
মোর ভাবের বাক্যে ধরা-
দেবেই এমন নেই তো প্রত্যাশা।
তব মায়ারঞ্জন যত পাই
মোর ভাবের বাক্যগুলো
তব তরে যে পরাজয় মানে;
তারই এ অস্থিরতা ও বাড়াবাড়ি
হানে যেন তব কানে।
কিন্তু যে কৃষ্ণ আবরণে
ঢেকে রাখো মায়াভরা মুখটি অকারণে
সেও যেে অত্যুক্তির বাণী
কাবা গৃহে যে কৃষ্ণ পাথরখানি
স্পর্শিলে পাপ-তাপ ঘুচায় অপনায় আপনি
যবে যাই নাই যথা তথাকার কীর্তন না জানি
তবে বিধাতার সে মহীমা আমি মানি।
স্পর্শ করি নাই কারে
শুধু সংস্পর্শ তার আপনারে
পরিস্নাত করেছে একেবারে
ব্যঞ্জনা মিলায়ে দিয়ে যাই
সে যে কোন অসীম মনের
তাঁরই আপন ইঙ্গিত
ধ্বনিয়া কন্ঠে হয় যে সঙ্গীত!
প্রিয়ে তারে আমি মর্মে জানি
জানে ঐ খোদার আরোশ
যেন সত্যেরও অধিক!
মায়ামৃগ সে ভাবরশ্মি
সোহাগ বাণীরে করোনা পরিহাস
এ নহে তো ভাষার অভিলাস।