কাল তোমাকে দেখলাম
জনঅরণ্যে দাঁড়িয়ে ছিলাম একা একা

তুমি হাঁটছিল ঠিক উল্টোদিকের রাস্তায়
একচিলতে রোদ তোমার শরীর বেয়ে স্নান করছিলো
প্রানপন খেলা করছিলো
হয়তো বা তোমার যৌবনের আস্বাদ নেবার প্রচেষ্টারত ছিল

তুমি উদাসীন ছিলে
খোলা হাওয়ায় নিজেকে বেঁধে রাখতে চেয়েছিলে
গোপনীয়তার আবরনে নয়

তোমার চুল উড়ছিল মুক্ত বাতাসে
বাতাস স্বভাবচপলতায় তোমাকে চুম্বন করতে চাইছিলো
তুমি অনুমতি দিচ্ছিলে না

অবুঝ বাচ্চার মতো তোমার পিছু নিয়েছিলাম আমি
কি অভিপ্রায় ছিল জানি না।  
মুক্ত বাতাস , একচিলতে রোদ তাদের সাধ্যমতো আমাকে বাধা দিছিলো

তোমার অমোঘ আকর্ষণ রোধ করে কার সাধ্য
এই মহাবিশ্বে

আমি তো সামান্য পথিক
বা জীবনস্রোতের দিকভ্রান্ত নাবিক

মরুভূমির মাঝে মরীচিকার মতো তোমার অন্নেষণ করছিলাম।  

তোমার সন্দেহের চোরা চাউনি
বুকের মধ্যে হালকা শিরশিরানি তৈরি করছিলো
আবেগের অশ্বকে যুক্তির লাগাম বশ মানাতে পারছিলো না।

................

হঠাৎ তুমি ঘুরলে
ছুটে এলে আমার দিকে

আমার নিশ্বাস যেন স্তব্দতার শিখরে হাঁপাচ্ছিলো
তুমি দাঁড়ালে আমার পাশে

একঝাঁক মৌমাছি উড়ছিল
বুকের ভিতরে।

তার একটাকে মুঠোর ভিতরে করে তুমি বললে
আজ থেকে এটা আমার।

আমি আবার বেঁচে উঠলাম ফিনিক্স পাখির মতো।