কি ভাবছো প্রিয়…উদাসী হাওয়ায় বসে…
আমি দিশেহারা এক পথিক, গোলকধাঁধায় ঘুরে মরছি…
এসো, আমার হাতটা শক্ত করে ধরো, আমি তোমায় পথ চেনাবো …
আমি পালছেড়া, হালভাঙা নৌকার মাঝি, ঢেউয়ের মাঝে বেসামাল…
আছি তো, হাল ধরবো তোমার নৌকার, তুমি নিশ্চিন্তে দূর দেশে পাড়ি দিও…
আমি পুচ্ছহীন ময়ূর, নৃত্য ভূলে গেছি…
তোমার পালকেই তোমাকে সাজাবো… মেঘলা দিনে বন মাতিও …
আমি ঝরা পাতা, ছড়িয়ে আছি, এখানে সেখানে…
ভয় কি? কুড়িয়ে নিয়ে নাহয় আঁচল ভরাব…
আমি সূর্যের প্রখর তেজ…মেঘের চাদরে ঢাকা পড়ে আছি…
আমি না হয় বৃষ্টি হয়েই ঝরবো…সুনীল আকাশে শুধু তোমার তেজ’ই প্রকাশ হোক
আমি রাতের ফুল, পড়ে থাকি গাছের তলায়, সকালবেলা
বেশ তো। তাই দিয়েই না হয় আমার পূজার মালা গাঁথব…
আমি উদ্ভ্রান্ত নদ…উচ্ছল, দামাল, দাম্ভিক…
বেশ তো। আমি নদী। তোমার প্রতিক্ষায় দিন গুনব…মিশে যাব তোমার সঙ্গে…একই পথের হব সাথী
আমার রঙ ঘোলাটে, তোমার থেকে যে আলাদা…
আমি তো স্বচ্ছ, তোমার রঙ আমাতে মিশবে না, আলাদা করে চেনা যাবেই…
আমাদের মত আলাদা, পথও এক নয়...
তাতে কি? গন্তব্য তো এক...না হয় চললাম পাশাপাশি কিছুটা পথ...তারপর তুমি চলে যেও তোমার ঠিকানায়...আর আমিও...যদিও জানি সময় আবার আমাদের মিলিয়ে দেবেই...
তুমি নিশ্চিত? সিদ্ধিলাভ হবেই?
বিশ্বাস রাখো, আমার ইচ্ছাশক্তি আর তোমার জ্ঞান দুইয়ের মিলনে অকল্পনীয় কিছু ঘটবেই।
তবুও সংশয় তো থাকেই...
আর কোন দ্বিধা নয়, কোন দ্বন্দ নয়...শুধু জেনো যে আমি তোমার,তুমিও আমারই
এই যে আমি নিজের মধ্যেই হারিয়ে যেতে ভালবাসি, তবে কি আমার শেষ সময় আসন্ন?
শেষ কোথায়, প্রিয়? এই তো শুরু...জীবনযুদ্ধে আমি হলাম সঙ্গিনী...তোমার ধ্বজা উড়ুক চিরন্তন মিনারে...যেখানে প্রেম-বিরহ, সুখ-দুঃখ, হাসি-কান্না’র হোক সহাবস্থান, যেখানে দিনের আলো রাতের অন্ধকার ঢেকে দিয়ে যায়, যেখানে কুয়াশা ভেদ করে জোৎস্নার আলো ছড়িয়ে পড়ে।।
S. Mukherjee