এমন এক মুখ খুঁজছিলাম
বহুবছর ধরে রাজপথে ক্লান্ত মিছিলের ভীড়ে খুঁজেছি এই চোখ;
এমন দীপ্তময়ী লাবন্যমাখা সরল হাসির দুটি ঠোঁট খুঁজেছি চিরসবুজ
পাইনের অরণ্যে।
জানো কত শতাব্দী অপেক্ষা করেছি
এমন এক পবিত্র মুখ দেখার প্রত্যাশায়,
কখনো কখনো সময় নেমে এসেছে
পাথরের পর পাথর হয়ে মাথার উপর,
বেশ কয়েকবার ঈশাণ কোণের কালো মেঘ দেখে উত্তরের বাতাস কানে কানে বলে গিয়েছিলো
আগামীর বৃষ্টির হয়ে তোমার মুখ আমার ঘরের চাল ভেদ করে উঁকি দেবে;
বাতাস কথা শুনিয়েছিলো বৃষ্টিও এসেছিলো -
তবে তাতে এত বেশি শব্দ ছিলো
তোমায় দেখতেই পাই নি।
কত বার পাহাড়ে গেছি এমন একটি মুখ দেখার বাসনায়,
কবির 'বনলতা সেন 'না হয় একবার আমার মুখোমুখি বসুক
এই আকাঙ্খায় দুরন্ত রোদের টিলা পেরিয়েছি বহু বাঁধা দূর করে;
বারেবারে ভেঙেছি নিয়মের নিগূঢ়
প্রাচীর।
এমন ই এক অবয়ব আঁকতে চেয়ে
সেই গুহাচিত্রে ফিরে গেছি বারবার,
যেখানে অজন্তা ইলোরার মাঝে দেখতে চেয়েছি এমনই এক মুখের ছবি।
তবু আমি মোনালিসা আঁকিনি কখনো ,
আকাশের রামধনু রঙ চেয়ে মনের ক্যানভাসে কতবার আঁকতে চেয়েছি
এমন স্নেহময়ী মুখ।
বিস্তীর্ণ কালো মেঘবরণ চুলের ঢেউএ কতবার দেখতে চেয়েছি ইছামতির চপল তরঙ্গমালাকে।
এমন ই এক মুখ দেখতে চেয়েছি বারেবারে;
এমন এক মুখ যাকে ভালোবেসে বেঁচে থাকা যায় অনেকদিন অনেকমাস আর অনেক বছর।
এমন ই এক মুখ দেখতে চেয়েছি
প্রতিটি সকালে প্রতিটি সন্ধ্যায়
প্রতিটি রাতে....