ছেলে:-"কে আছে আমার চোখে- তার চোখ রেখে রাত
         করে দেবে পার?
         আমার সকল ব্যথা বেদনাকে তার:
         কোনো এক গভীর রজনীবুকে, প্রগাঢ় আবেগে
         বুক ভরে নিঃশ্বাসে মিশিয়ে নেবে;
         এমন কে কোথা আছে, রাত্রি পেরোবার?"


মেয়ে:-"আমি যে তোমার চোখে এতদিন চেয়ে আছি,
          এত এত রাত;
          তোমার ব্যথার বুকে রেখেছি প্রভাত;
          দেখো নি হে,আমার আবেগবাঁধ ভেঙ্গেছে
          তোমার
          ক্লান্ত বুকে; তুমি আমি হয়েছি যে একাকার-
          সুদীর্ঘ জীবনসম প্রণয়প্রপাত"


ছেলে:- "তোমাকে কেনো যে তবু মনেহয় অরণ্যের
           সে আদিম ভয়;
           পৃথিবীর এত বুকে পেয়েছো প্রণয়;
           তবু তুমি, এই দৈন্য বুক মাঝে এসেছো
           স্বমতে
           তবু তুমি, সেসব প্রণয় হতে
           আমাকে নিয়েছো বেছে, এও বুঝি হয়?"


মেয়ে:- "এতদিন - এতরাত প্রশান্তি খুঁজেছি প্রাণে,
           কোথাও তা নাই;
           তোমার বুকের মাঝে হঠাৎ হারাই-
           মনে হলো, বেরোবার সব পথ বন্ধ হয়ে
           যাক;
           অন্ধকারে,তোমার প্রণয়বুকে তীব্র অনুরাগ;
           এত শান্তি! মনে হলো- চিরকাল চাই"

এরপর গাঢ় রাত, অন্ধকার বিভীষিকাময়;
জীবনে যে তীব্র তৃষ্ণা তার পরাজয়-
দেখেছে পৃথিবীপ্রাণ- রাতের পাখির মতো ক্ষীণ;
যে যুগ বেদনাহীন, তারও কী আছে শেষ, সমাপ্তি সময়?

দুটি পাখি হারিয়েছে, কত দুটি জোড়া বাঁধে ফের
এমনি করেই সব শেষ হয় শুরু হয়;
পাষাণ পৃথিবী তবু স্থির;
অবিচল মেনে যায় ধরাবাঁধা নিয়ম বিধির