এই যে বোধবুদ্ধি, তুমি নিঃশব্দে এসে পায়ের তলায় দাঁড়ালে
এই যে বিবেক,তুমি মাথার ওপর ছায়া
এই যে আবেগ, তুমি অন্তঃস্থিত বৈষম্য
একটি নারী
আমার চোখ চলে গেছে এক জীবন্ত খেলনায়
আমার হাত উঠে গেছে এক পরম উপভোগ্য বৈচিত্র্যে
আমার ছেদনাঙ্গ থেকে ছুটে বেরিয়ে যাওয়া পৌরুষ্য
একটি নদীর নিতম্ব থেকে স্রোতে মিশে কী সৃজনশীল!
এই যে মা, তুমি যেখানে সমগ্র জগতের প্রথম পথ ছিলে
সেখানে আমি অন্যের মাকে শুধু একটি নদী ভেবেছি
একটি দেশ ভেবেছি
নক্ষত্রে আমার চোখ আটকে গেলে
নিশ্ছিদ্র ছায়ার মতো লেপ্টে
তাকে দেখে যে সুষমামণ্ডিত চোখ মগজে সংকেত দেয়
তাতে কতখানি তার বিম্ব আসে?
যতটা অন্তর বোঝে!
আমি একটিকে চোখ অন্যটিকে অন্তর দিয়ে দেখি
এই যে চোখ ও অন্তর তোমরা কি পরস্পরকে চেনো?
কোনো উত্তর নেই
এই যে নারী,
প্রিয়া, পতিতা।
এই যে জন্মমুখ,
তোমরা কি পরস্পরকে চেনো?
মহাজগৎ নিরুত্তর হলে আমি স্বেচ্ছায় মৃত্যুদণ্ড চাইবো।