শব্দহীন স্তব্ধ রাত শুনশান নিরবতা শহরের গায়
কুয়াশার মতো বৃষ্টি বাতাসের গায়ে গায়ে ভেসে ভেসে ঝরে
দোতলার জানালার একটি কপাট খোলা, চোখ চলে যায়
একটি তরুণী মেয়ে রাতভর ওই ঘরে পায়চারি করে
হলদে টেবিলে তার খয়েরি চায়ের ফ্লাক্স কিছু বই খাতা
একটি কলম হাতে, কখনো ঠোঁটের ফাঁকে কাপ উঠে আসে
কখনো চেয়ার ঠেলে জানলার ধারে এসে আওড়ায় যা তা
কখনো ভীষণ ক্ষেপে সবকিছু ছুঁড়ে ফেলে আবার সে হাসে
বৃষ্টি খুব বেড়ে যায় জানালার কপাটটা বন্ধ হয়ে যায়
ছটফট করে মন আর কী খুলবে আজ; বৃষ্টি থেমে গেলে?
ঘুমহীন চোখ দুটো সারারাত সেঁটে থাকে সেই জানালায়
ঘর অন্ধকার করে চুপ হয়ে বসে থাকি; যদি দেখা মেলে!
শেষরাতে ছাদটায় ছায়ামূর্তি দেখা যায় ভিজে জবজবে
নূপুরনিক্বণ শুনি; গুনগুন সুরে গান এতদূর আসে?
একদিন আমারো কী এমনই ভিজবার সুযোগটা হবে;
হাত ধরে শেষ রাতে আকাশের পানে ফিরে বিষাদির পাশে?
কতদিন চলে যায় দু'টো দালানের মাঝে কত লেনাদেনা
একটি বর্ষার পর আরেকটি বর্ষা আসে শহরের ছাদে
বিষাদি তরুণী তবু হয় নি কাছের কেউ রয়েছে অচেনা
এখনো বেহায়া মন ওর পাশে ভিজবার আশা নিয়ে কাঁদে