ইদানিং তোমাদের বাড়াবাড়ি আনন্দ দেখে আমার খুব রাগ হয়। হিংসে নয় এটা; প্রশ্ন। মানুষের হৃদয় ভাঙার এতো উল্লাস কিসের বলতো? এজন্যই আমি তাচ্ছিল্য করে বলি, তোমরা সবই পারো। বলতে গিয়ে উগড়ে আসা বমিকে আঁটকে রাখি, ক্রুদ্ধ হাতকে থামাই সজোরে আঘাত করা থেকে,
চিৎকার করে কেঁদে উঠতে গিয়ে থেমে যাই; আগুন রাঙা চোখ থেকে হাজার বছরের অশ্রু ঝরে পরে। তারপর আকাশের দিকে তাকিয়ে তুলে নিই সব অভিশাপ। নাগিনীর ছোবলে নীল হয়ে পদ্মকে আমি শত্রু ভাবিনা হে ব্রহ্ম!
আমি বিদ্রূপ থেকে নিতে পারি অঙ্কুরোদগমের আশীর্বাদ! তোমাদের মতো হাজার কষ্টের সংজ্ঞা নিয়েই চলে ফিরছি অনবরত। এমনকি আমরা গরল থেকেও শুষে নিতে পারি অমৃতের পরাগায়ন। তাই আমাকে কষ্ট শেখাতে এসো না, চেনাতে এসো না আনন্দ। তোমার জীবনের সকল অহংকার নিয়ে চলে যাও চূড়ান্ত শিখরে। রয়ে যাব একা আকাশের মতো, সীমান্তের মতো, ধুলো মাখা পথের মতো। অভাবী আমি, গড়তে না-ই পারি; হৃদয় ভেঙে তো আমি আনন্দ করতে পারি না! কখনও করিও নি।
কষ্ট এখানে হাসির আড়ালে বসে থাকে নিশ্চুপ। তাই আমাকে কষ্ট শেখাতে এসো না, চেনাতে এসো না আনন্দ। ইদানিং তোমাদের বাড়াবাড়ি আনন্দ দেখে আমার খুব রাগ হয়। হিংসে নয় এটা; প্রশ্ন। মানুষের হৃদয় ভাঙার এতো উল্লাস কিসের বলতো?