আমি শেষ বিকেলের বারান্দায় দাঁড়িয়ে
সেদিন রোদের ক্ষত মুছতে মুছতে
শুধু তোমার বাড়ি ফেরা দেখেছি–
আমি কখনো দেখে নি তোমার নিঃশব্দে
বাড়ি ছেড়ে চলে যাওয়া, শুধু শুনেছি
কানে কানে বলছে সে কথা পুবের হাওয়া!
আমি জানি না, তোমাকে ভালোবাসি কিনা
শুধু জানি, তোমাকে দেখলে আমার মরতে ইচ্ছে হয় না
শুধু জানি, তুমি চলে গেলে বাতাসে ছড়িয়ে পড়ে
বিষাদের বাষ্প, শরতের নীলাকাশ
ঢেকে যায় কালো মেঘে; সন্ধ্যা হলে
একটা জোনাকি উঠোনজুড়ে উড়ে উড়ে
শুধু তোমাকে খুঁজে বেড়ায়–
আমার রাতগুলো নির্ঘুমে নির্ঘুমে ভোর হয়ে যায়!
আমরা একই বাগানের একই গাছের একই ডালের
ভিন্ন দুটি প্রাণ; তুমি ফুল হয়ে ফুটবার মুহূর্তে
কেন যে আমি শুকনো পাতার মতন ঝরে গেলাম!
তারপর স্বেচ্ছায় কিংবা অনিচ্ছায়
কত লোক যে পদতলে মাড়িয়ে গেল;
একদিন শুনলাম, ভালোবাসার ছদ্মবেশে
ওরা তোমাকে তুলে নিলো...
তুমি ভুল নও, নও কারুর খেলার পুতুল
তুমি কি জানো, তোমার নাম থেকে
একটা বর্ণ মুছে দিলে তুমি হয়ে যাও 'ফুল';
তুমি আমার ফুরিয়ে যাওয়া ডায়েরির শেষ পাতা;
সিগারেটের বিষাক্ত নিকোটিনে
ক্ষয়ে ফেলা সোনার জীবন–
তুমি টিউশনে পড়ার টেবিলে বসা বিস্মৃত সন্ধ্যা
তুমি হাসিনা ফুপুর বাগানে ঝরে পড়া শেষ রজনীগন্ধা!