সে চিনে নাই তোমারে
তুমি চিনো নাই তারে
আমিও কি চিনেছি আমারে?
অচেনা জীবন কাটাতে কাটাতে
কার অপেক্ষায় আমি, তুমি এবং সে
বসে আছি ত্রিখণ্ডিত নদীটার
ভূলণ্ঠিত অন্ধকারে!
সে ডুব দিয়েছে জলপরীদের খোঁজে
তুমি ভেসে গেছো হাওয়ায় হাওয়ায়
ঢেউয়ে ঢেউয়ে
আমি পড়ে রইলাম ধ্যানমগ্ন হয়ে
জলের বিছানায় দু'চোখ বুজে!
জানি একদিন নদীটাও মরে যাবে
আমাদের চলে যাওয়ার
ডুবে যাওয়ার
মরে যাওয়ার
সংখ্যা গুণতে গুণতে!
তবু জলে সাঁতরাবে টাকার কুমির
ডাঙায় চরে নগরে অথবা সংসারে
চলবে ভূমিখেকোর ভরপেট ভূমিভোগ
শিল্পপতির প্রাসাদে অনাহারে ক্লিষ্ট নারী
প্রসব করবে কিছু জীবনব্যাপী বেদনা
আর সহদোরের মস্তিষ্কে ঝুলন্ত বাদুড়
রক্তারক্তি দেখার নেশায়
বপন করে দিবে বিষাক্ত কিছু বীজ!
তবু আকাশে উড়বে আমাদের ত্রিখণ্ডিত জীবনের
অগণিত স্বপ্নের ফানুশ!
পৃথিবীর শেষ কুমিরটা কিংবা শুয়োরটা
কিংবা শকুনটার মৃত্যুর আগে মরে যাবে
পৃথিবীর শেষ মানুষটা!
নদীটা মরে না গেলে জীবন কি তবে অখণ্ডই থেকে যেত?