তাসের আড্ডায় কারা কাদের হারাতো
আজ আর আমার মনে নাই!
তবে তাসের আড্ডায় স্বজনের ছদ্মবেশে
১০০ ওয়াট হলদে আলোর ডোবায় ফণা তুলে
সাঁতরাতো কিছু বিষাক্ত সর্প।
আমরা ইঁদুরেরা গর্ত খুড়তাম বৃক্ষের শিকড়ে
ওরা অনাবিল আরামে নিশ্চিন্তে সেখানে
জমা করেছে গুপ্তধন!
গুপ্তধন কীভাবে বিষের খনিতে পরিণত হল—
তা বুঝতে আপনাকে পরাবাস্তবতা কিংবা জাদুবাস্তবতার
কবিতা কিংবা নভেল পড়ার দরকার নাই!
আপনাকে বুঝতে হবে সামাজিক বাস্তবতা
আপনাকে পড়তে হবে মানুষকে
আপনাকে জানতে হবে মৎস্যান্যায়ের ইতিহাস!
আপনি বয়স পঞ্চাশ পার করে বিড়ি টানতে টানতে
কুয়ার জলে হাসের একান্ত গোপন মুহূর্ত দেখতে থাকলে
কবিত্ব পাবেন না মহাশয়!
আপনাকে ফের হাতে শেকল বেঁধে ধর্ষণমামলায়
নিয়ে যাবে অন্ধকার গারদে!
নির্দয় ভঙ্গিতে নিঃষ্পাপ বৃক্ষের শেকড় উপড়ে ফেললে
আপনি মরবেন শীতে খরায় উত্তপ্ত সূর্যপিণ্ডের
বিধ্বংসী অত্যাচারে, আপনি জলাতঙ্কগ্রস্ত হয়ে
কামড়াতে যাবেন যারে তারে—
আপনি মারা পড়বেন অর্ধহারে অনাহারে
নিজের গোপন পাপের অভিসম্পাতে!
আপনি ঘুমের ঘোরে নিশাচর প্রাণীর মতন
ঘুরবেন রাত-বিরাতে, শিকার না পেয়ে
জমিনের মাটি খেয়ে খেয়ে নিজেই খুঁড়ে যাবেন
নিজের কবর!
খোদার দুনিয়ায় কে আপন, আর কে যে পর
তার হদিস মিলবে না জীবনভর!
মেটামরফোসিস পাল্টা বাস্তবতায়
সাপ হয়ে গেছে কুমির
ইঁদুর হয়ে গেছে বানর!
বিবর্তন মানেন না বলেই
আপনাদের সদরে আজও জ্বলে ১০০ ওয়াটের হলুদবাতি
আপনাদের বীভৎস নোংরা পুকুরে দিনে দুপুরে হয়
কুড়াল হাতে কচুরিপানা কাটাকাটি
এদিকে আপনাদের বাঁচবার আশ্রয়গুলিতে চলে
ফোনে ফোনে মনের লেনদেন নয়
কামনার নীল পিপাসায় স্বর্ণডাকাতি!
আমার বুঝতে বাকি নেই তাসের সেই
অঘোষিত অনির্ধারিত জুয়ায়
আপনাদের পশ্চাৎদেশে জ্বলে গেছে লালবাতি!