আমি তো জন্মাতে চেয়েছিলাম
আবদ্ধ জলাশয়ে
দিনভর সাঁতরানো কোনো হাঁস হয়ে–
অভুক্ত শরীরে চেয়েছিলাম ক্ষণিকের আলোড়ন
একটুখানি সঙ্গমসুখ!
আমি তো তোমাকে ছুঁতে চেয়েছিলাম বাতাস হয়ে...
সত্যিই আমি মেঘেঢাকা চাঁদের চাপা অভিমান নিয়ে
লিখতে চাই নি কোনো কবিতা!
ক্রমাগত আদিম দংশনে নীল হয়েও
আমি ভালোবেসে গেছি তোমার চোখের গভীরে
লেপ্টে থাকা সমস্ত সবুজ, ক্লাসরুমের মলিন আলোয়
মগ্ন হয়ে দেখেছি নোটখাতায় নিবিষ্ট তোমার মুখভঙ্গি হঠাৎ আমার দিকে তোমার চুম্বকীয় চাহনি
আমি ফেঁসে গেছি, অতঃপর একদিন অস্পষ্ট হয়ে গেছি
মহাজাগতিক কুয়াশায়...
বিশ্বাস করো, আজও আমি এক অভুক্ত মানুষের
শরীর নিয়ে বেঁচে আছি কোনো পরাবাস্তব গুহায়!
সভ্যতার স্বচ্ছ আলোয় যার চোখ দুটি ক্রমশ পুড়ে যাচ্ছে!