আমার চিন্তাস্রোত তোদের যুক্তির মেরুদণ্ডকে
আঘাত করেছে বলে আমাকে টেনে হিঁচড়ে
নিয়ে গেলি অন্ধ গলির ধারের চারপ্রোকষ্ঠবিশিষ্ট
অবরুদ্ধ গারদে!
এখনো তোরা উত্তপ্ত রাস্তায় জলকামানের ঢেউয়ে
দেখিস সিস্টেম ভাঙার স্বপ্ন! আমি বলি, রক্তের বন্যায়
সর্বদা অন্যায় ভেসে যায় না —
পূর্বপুরুষের বিগত পাপের
দূষণও ভেসে যায় কখনো কখনো !

আপনাদের কি দ্বিধা হল না?
তোমাদের কি দ্বিধা হল না?
তোদের কি হাত  কাঁপলো না—
তাক করা বন্দুকের সামনে নির্বিঘ্নে
নিস্পাপ ফুলগুলিকে দাঁড় করিয়ে দিতে!
তাজা কফিনের সামনে দাঁড়িয়ে
জীবনের অপচয় নিয়ে ১ মিনিট নীরবতা পালনেই
রক্তের দেনা শোধ হয় না!  
আমি আবারও বলছি, তোদের কি হাত কাঁপল না—
বুলেট বৃষ্টিতে তাজা ফুলগুলিকে ঝরিয়ে দিতে!

যতবারই ভাববি তোরা পারবি, ততবারই তোরা হারবি
তোরা সংখ্যা গুনলি জীবনভর
আমরা গুনেছি মানুষ
তবু তোদের ফিরল না হুঁশ
আজও না,  হয়তো কোনোদিনও না!
তোরা কাঁটাতারের লাশ দেখলি
জীবন্ত লাশ যে হেঁটে বেড়াচ্ছে— তা দেখলি না!

তোদের সংগ্রাম মার্কেট ফিরে পাওয়ার
তোদের সংগ্রাম যা কিছু উজ্জ্বল
তা মলিন আলোয় ঢেকে দেওয়ার
তোদের সংগ্রাম সংখ্যালঘু নিধনে
ঘাতক দালাল হিসাবে
বার বার মাতোয়ারা হওয়ার!

এত এত যুদ্ধ হল—
এতগুলো ফুল বুলেট-বৃষ্টিতে ঝরে গেল
কী অদ্ভুত!
রাস্তা ছেড়ে তোরা প্রার্থনালয়ে ঢুকে পড়লি!
সেগুনবাগিছার অবরুদ্ধ গারদে বসে আমি গুলি এবং
ধর্মীয় আবেগপূর্ণ বুলি দুটোই শুনেছি—
এ শব্দ আবার সিজোফ্রেনিয়ার সিম্পটম কিনা
আমি জানি না!  
তবে তোমাদের মৃত স্বপ্ন যে কখনো বেঁচে উঠবে না
এ ব্যাপারে আমি সুনিশ্চিত!