যন্ত্রণার যাঁতাকলে পিষ্ট হতে হতে
আমি এসে দাঁড়িয়েছি তোমার দুয়ারে–
আমার রিক্ত হাত দুটি ধরো।
শিশিরে সিক্ত দুটি কদমফুল নিয়ে
আমি নত হয়েছি, আমার তোমার
দুজনের গোপন দুঃখ
মোচনের প্রতিজ্ঞা নিয়ে
আমি উঠে দাঁড়িয়েছি শতবার!
তুমি আমার চোখে রাখো চোখ–
কেন মিছে মিছে মাটির ব্যাংকের কয়েনের মত
জমাচ্ছো খুচরা বিরহ
এত এত ক্লান্তির পরে এত এত শোক!
তুমি যদি কোলবালিশের মত প্রতিরাতের ঘুমে
জড়িয়ে থাকো বিগত জীবনের অপ্রাপ্তির ক্ষত
তবে কেমন করে স্বপ্নের বাগানে ফুটবে
প্রশান্তির গোলাপ?
কেমন করে খুব ভোরে অঝোরে নামবে
নীলিমার শোকার্ত বুক চিরে সোনালি বৃষ্টি
মেঘলা আকাশের গোপন ক্ষতে লাগবে
একটুখানি রোদের ছোঁয়া!
আমার বস্তাপঁচা পদ্য তোমার ভালো না লাগলে
তুমি আবোল-তাবোল, ঠাকুমার ঝুলি
কিংবা আরব্যরজনীর রূপকথা পড়বে
তবুও তুমি আমার প্রাণের গহীনে আসো!
শিয়রের পাশে বসে জ্বর পরিমাপের ছলে হলেও
একটুখানি ভালোবাসো!
গ্রামার আমার খুব বিদগুটে লাগে
গাণিতিক সূত্র কিংবা সামাজিক নিয়ম
আমি চিরকালই ব্যক্তিগত ড্রয়ারে তালাবদ্ধ
করে রেখেছি, রাষ্ট্রীয় জঞ্জাল পরিস্কারের জন্য
আমি কবিতার ছন্দ-মাত্রা-লয় খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে রপ্ত করি নি
আমি শুধু চেয়েছি সংক্রমিত হোক আনন্দ!
আমি শুধু চেয়েছি, তোমার উড়বার মত
একটা ব্যক্তিগত আকাশ হোক
শান্তিতে ঘুমানোর মত একটা একান্ত আশ্রয়!
আমি ভাঙতে এসেছি তোমার সব অবসাদ, সকল ভয়
তুমি সূর্যমুখীর মতো না পারো–
সূর্যের চুম্বনে শিশিরভেজা ঘাসফুলের মত
একটুখানি হাসো
লজ্জবতীর মত গুটিয়ে গিয়ে হলেও
ওড়নায় মুখ ঢেকে প্লিজ একটুখানি হাসো।
খুব না হলেও
তুমি আমাকে একটুখানি ভালোবাসো।
ভালোবেসে ভালো না লাগলে
তুমি ব্যর্থ করে দিয়ে চলে যাও
অনেক হল কবিতা, এবার একটু ঘুমাও!