হায়রে-প্রমত্তা ভাগীরথী
হায়রে-হৃদয়বতী
শ্যামের হাতের বাঁশি
সুনন্দা প্রেয়সী।  

কত পোড়াবে আমাকে?
কত রঙের কষ্ট দেবে?
ফোঁটা কদমের ঘ্রাণ দেবে বলে
আমৃত্যু প্রতীক্ষা করাবে?
তোমার অতলান্ত ভালোবাসা-  
হাভানা তামাকের কড়া ঘ্রাণমাখা জলে
বলেছিলে-“ভেজাবো তোমাকে”।
ফিনিক্সের ছাই হলে
বাতাসে ওড়াবে?

নীল শেমিজ-কত নদী বয়ে গেল  
ছুঁয়ে দেখিনি তোমাকে।
ভাসাওনি বনহংসী তোমার
দরিয়ার লীলাময় বানে
ত্রিবেণী সঙ্গমে।
তোমার নিশিন্দা নাকের কাছে
আমার তৃষিত নাকের ছোঁয়া
মাতাল হাওয়ার আদিম রাতে
নাগলিঙ্গম ঘ্রাণে।

কতকাল ডুবাওনি তোমার
রেশমি চুলের প্রগাঢ় আঁধারে।
বর্ষার ছিন্নপালক ভেজাকাক হয়েছি
বেনির নীবিবন্ধ জোছনার রাতে।
ভ্রুযুগলের তীব্র বিষমেশা শরে
শেষবার লুটিয়ে পড়তে দাও রাঁধা
লক্ষ্মী ওই পদযুগলের তলে।