ডাব গাছের উপর শিশিরে ভেজা চাঁদ
লাজুক বধুর মতো সরায়নি বসন।
আখ ক্ষেতের মাঝে শিয়ালের ডাক,
ছলাত শব্দে ঝরে পড়ে নদীর পাড়।
কাসেম পাগলা প্যারেড করে গভীর ঘুমে,
সৈনিকের সহজাত অভ্যাস।
মাটির রাস্তায় সাইকেলের টুং টাং আওয়াজ,
বাড়ি ফিরছে সঞ্জিত ডাক্তার।
গোয়ালের গাভীটা আচমকা পা ঝাড়ে,
কান সজাক হয় হারুন বেপারীর,
"কে ওখানে?" ঘুমের ঘোরেই দেয় হাঁক-
পাশ ফিরে আবার অঘোর ঘুম।
"মাঝি! মাঝি!" ভেসে আসে ডাক
মাঝরাতের পথিক আটকা পড়লো বলে
নদীর ওপারে, বেচারা ।
সাপের মতো কিলবিল করে উঠছে জোয়ার,
অমাবশ্যার ডালা এখনো বেশ দূরে।
মসজিদের বারান্দায় নামাজে মাঝি
খোদার প্রেমে আকন্ঠ ডুবে।
মেঘেরা ছুটছে সজোরে দাপিয়ে
কোথাও চলছে বুঝি বৃষ্টির মেজবান।
আনু ফকির লোটা হাতে ঔ নদীর কিনারায়,
প্রাকৃতিক ডাক, বড্ড অসময়ে।
নদীর বাঁকের গভীর পানিতে
আচমকা লেজ তুলে ঝাপটা মারে বিশাল বোয়ালটা।
রাস্তার উপর শুঁয়ে আছে তাগাড়া কুকুরটি,
গাঁয়ের অবৈতনিক পাহারাদার।