শীতের রোদ্দুর পিঁড়েয় বসতে চায়না,
সবটুকু উঞ্চতা বাটোয়ারায় আপত্তি,
জমিনের আইল ধরে উঠে আসে কুয়াশার চাদর।
চরপড়া নদীতে গলুয়ে বসে ভাবি
শীতের চুলোয় নদীর পানি তপ্ত হয়?
গুঁড়ের চা আর নানরুটির সোয়াদ
জিহ্বার ডগায় নাচন তুলে।
জোয়ারহীন নদীতে সরু পানির ধারা
ওপেনহার্ট সার্জারির মতো কদর্য।
নদীর ঢালুচরে আলু-মুলা-বেগুনের ক্ষেত,
ভান্তের আলোয়ানের মতো সরিষাফু্ল,
ঘন বাঁশঝাড়ে তুফান তুলছে অগনিত পাখি,
সূর্য্যটা কেঁদে কেঁদে বলে আজ তবে যাই।
আমার কিশোর মন ছুটে যায়
সওদাগর বাড়ির পেছনের বিলে,
মাঠভরা গরু, সাথীদের গোল দেবার উল্লাস
আর গরুর লেজ ধরে বাড়ি ফেরা।
কিন্তু আমিতো চরে আটকা পড়া
নৌকার গলুয়ে, সংগ্রামী পিতার
ছায়া হয়ে অসহায় সান্ত্বনার ক্ষীনরেখা।