নদীর গা বেয়ে উঠে আসে রাক্ষুসী রাত,
দূর্বাঘাসের চামচে পান করে শিশির
অতপর ভারী কদমে পৌঁছে ধানখেতের সীমানায়-
ধবধবে কুয়াশার চাঁদর গায়ে
জবুথবু সোনালী ধানের আঁচল।
মিয়াবাড়ির পরিত্যক্ত ইটের ভাটায়
শোনা যায় গা চমচমে শিয়ালের ডাক।
খেঁজুর রস পড়ার টুপ্টাপ শব্দ,
দিগন্ত জূড়ে আছড়ে পড়েছে পূর্ণিমার চাঁদ।
দূর হতে শোনা যায় ছকুনির মার হাক,
গোয়ালের গরু ফিরেনি ।
কাজীদের উঠোনে পড়ে আছে লাশবাহী খাট,
কান্নার সোর থেমেছে,ক্লান্তির ভারে নুঁয়ে শোক,
আচমকা কেঁদে উঠে দুধের শিশু-
অতপর তথৈবচ নিস্তব্ধতা।
নিভু নিভু চেরাগ নিয়ে বসে ঐ
সাদেকের মা, ছেলে এখনো ফেরেনি,
গঞ্জ কি খুব দূর?
খিদে আর ঘুম একাকার।
বিরান রাস্তার ছোট পুলে বসে
কালু পাগলা,
একাই বাঁধিয়েছে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ।
দূরে মসজিদের মিনার, উঁচু শির।