শৈশবের কুয়াশা ভেদ করে কৈশোরের হাত ধরে
আলগোচে তুমি এলে,
সাথে নিয়ে অন্তহীন পথ চলা।
আমি বিস্মিত হইনি।
অথচ বিস্মিত হওয়াতেই নাকি দর্শনের শুরু ।
ধীরে ধীরে বিকশিত কুসুম,
জীবনের রঙ মনের রঙে একাকার।
দুঃসাহসিকতা,দুরন্তপনা, কল্পনাবিলাস
তোমার ছত্রে ছত্রে গচ্ছিত।
রাজনীতি, প্রেম,দেশ,এগিয়ে চলা অজানায়,
তারপর একদিন মধ্যাহ্নের ডাকাডাকি।
রেললাইন ধরে পথ চলা,
পাশাপাশি, তবু দূরে।
জীবনকে করলে তীক্ষ্ণধার করাত,
সময় ফালাফালা করতে চায় সবকিছু।
এরপরও আমি বিস্মিত হইনি,
অথচ বিস্মিত হওয়াতেই নাকি জীবনের স্বাদ।
নগর, শহর, প্রবাস,গ্রাম
পাঁচমিশালী পাঁচনে বহুমাত্রিক যোগ।
সংসার,বাস্তবতা,প্রতিদ্বন্ধিতা,জয়-পরাজয়,
শরতের আকাশে নিহত রঙের খেলা।
একঘেয়েমীর তেতো বড়িগিলে খাওয়া
যেন গ্যাস্ট্রিকের বিকল্প উপাত্ত।
তবু আমি বিস্মিত হইনি,
অথচ বিস্মিত হওয়া নাকি বেঁচে থাকার ভেলা।
এখন আবার ফিরে যাবার তাড়া,
দেওয়া না দেওয়ার হিসেবের ইতি ছাড়া।
কত আরাধ্য তুমি,
শক্তির আধার, কর্মের নিউক্লিয়াস,
অথচ স্বার্থপর।
নেওয়ার হিসেবে পাকা খেলোয়াড়।
এরপরও আমি বিস্মিত হইনি,
জেনেছি এটাই শাশ্বত রুপ তোমার।