সেই ক'টি মুহূর্ত
মোঃ সেলিম হোসেন
০৯ নভেম্বর, ২০২২ খ্রিঃ।
স্টেশনের করিডোরে বসে আছে ঝিমুচ্ছি
অপেক্ষা ডাউন ট্রেনের,
মাঝে মধ্যে তাকাচ্ছি ঘড়ির কাটার দিকে
সাতটা আট বাজে
ট্রেনের সময় হতে আর পাঁচ মিনিট।
নিজেকে গুছিয়ে রাখলাম যাতে
ট্রেনে উঠার সময় কোনো সমস্যা না হয়।
ট্রেনের সময় হয়ে গেলো
উঠে তাকিয়ে রইলাম রেলপথের পানে।
এই বুঝি ট্রেন চলে আসে!
সামনের দিকে চোখ অপলক।
আহা! সেকি! ডাউন ট্রেনের পথ ধরে
এগিয়ে আসছে এক অপ্সরা রূপী কুমারী।
হিমেল হাওয়া যেনো তাকেই ভালোবেসে
সমস্ত বাতাস নিয়ে ঢালছে তার মুখে,
সেই সাথে কালো মেঘমালার মতো উড়ছে চুল
ওড়নার সাদা আঁচল বাতাসের স্রোতে ভাসছে
প্রজাতির রূপ নিয়ে ঝুমকা জোরা দুলছে
বাম কাঁধে আঙুলে আটকানো ব্যাগটা
যেনো পিছনে টানছে
আধা ফোটা গোলাপের দুটি পাপড়ি
ঝর্ণার কোল ঘেঁষে ভাসছে
আকাশের মতো ললাট পানে
শোভা পাচ্ছে লাল সূর্ষটা।
ভাবনার সমুদ্রে ঢেউ তুলে এগিয়ে চলছে অপ্সরা।
অপলক তাকিয়ে রইলাম
ধীরে কাছে চলে এলো অপ্সরা।
প্রাণভরে দেখার জন্য...
সহসা সকল নিরবতা ভেঙে
বেজে উঠলো ট্রেনের আগমন বার্তা।
সম্বিত ফিরে পেয়ে দেখি অপ্সরাও
উঠে গেলো একটা বগিতে।
অতৃপ্ত মন নিয়ে আমিও উঠতে যাচ্ছি
এমন সময় এক বৃদ্ধা বলে উঠলো,
বাবা তুমি কি চট্টগ্রাম যাবা?
তখন বুঝতে পারলাম
ওটা আমার গন্তব্যের ট্রেন নয়।
পুনঃ দেখা হবার শেষ আশা ত্যাগ করে
নেমে গেলাম সেই করিডরে।
কতগুলো বছর পেড়িয়ে গেছে
এখনো স্টেশনের করিডোরে এলেই
চোখের পর্দায় ভেসে ওঠে সেই দৃশ্য,
সেই ক'টি মুহূর্ত।