মায়াভরা চন্দ্রমুখী মেয়েটির শুভ আগমনের পর থেকে প্রায় সারাদিন রাত চোখ দুটি বন্ধ করে রাখতো। তার জন্মের দিন সবাই পাশে ছিল। ছিলনা শুধু সংসারের প্রতি কর্তব্যপরায়ণ আর কর্মব্যস্ত অসহায় বাবা। সেদিন দ্বায়িত্ব কর্তব্য পালন আর কাজের চাপে বাবার অবস্থান ছিল শতশত কিলোমিটার দূরে ভিন্ন কোন শহরে।

কর্মজীবী বাবার সাথে তাবাসসুমের জন্মের প্রায় এক সপ্তাহ পরে ঘটে প্রথম দেখা।
সেদিন ফুলের মত নব্য ফোটা সুভাসিত মেয়েটি না জানি কোন অদৃশ্য আকর্ষণ আর অকৃত্রিম হৃদয়ের টানে বারংবার চোখ খুলে তাকাচ্ছিল বাবার মুখপানে।
দেখে মনে হচ্ছিল তার বাবাকে দেখার জন্যই সাতদিন তার আঁখি যুগল বন্ধ রেখেছিল।
আবার দু-দিন পরেই বাবা যখন কর্মস্থলে ফিরে যাচ্ছিলো ঠিক তখনো ছোট্ট মেয়েটি নিষ্পাপ নয়নে অপলক বাবার চোখে তাকিয়ে ছিল সীমাহীন মায়াময় দৃষ্টিতে।

আমাদের বাবা ও মেয়ের প্রথম পর্বের, সর্বপ্রথম ও শেষ দেখার দুই দিন কেন ঐভাবে চোখ মেলে অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে ছিল সেটা আজও আমার কাছে বাবা হিসেবে চরম বিস্ময় হয়ে স্মৃতির আলপনা আর মনের মনি কুঠায় গেঁথে রয়েছে। জীবনে অনেক অনেক বেশি বড় হও আমার সোনা যাদু মনি,তাবাসসুম। পৃথিবীর কোন নোংরা আবর্জনা আর কালোছায়া যেন এখনো তোমার পবিত্র পদস্পর্শ করতে না পারে।

অজস্র ভালোবাসা ও দোয়া
রইলো তোমার জন্য,
মানুষের মতন মানুষ হয়ে
জীবন করো ধন্য।

#বাবা
সেলিম রেজা সাগর.......