নীলা: কবি সাহেব ? এমন স্নিগ্ধ বিকেলে, কোন ফুল বাগানে গাছের মিষ্টি ছায়ায় না বসে,এই রৌদ্রময় খোলা মাঠে কী ভাবছেন ?
কবি আজাদ: সবাই যদি সব সময় শুধু আরাম আয়েস খুঁজে বেড়ায়, তাহলে কখনোই আমাদের এই পৃথিবী সুন্দর করা সম্ভব নয়।
নীলা: কবি সাহেব কী তাহলে পৃথিবী সুন্দর করার যুদ্ধে যাবেন নাকি ?
কবি আজাদ: অনেকটা সেরকমই। যুদ্ধ তো সারাক্ষণ লেগেই আছে। নিজের সাথে নিজের যুদ্ধ। আবার কখনো বা নিজের সাথে নিজের আদর্শের যুদ্ধ।
নীলা: তুমি তো সেই কবি, যাকে দেখলে মনে হয় পুকুরের জলের মতই ভিষণ শান্ত। কিন্তু আজ তোমার চোখে কিসের এত চঞ্চলতা ?
কবি আজাদ: হ্যাঁ, আমি কবি বলেই এখনো আটকে আছি, আমার ছোট্ট মেয়েটার চোখের তারায়। এখনো আটকে আছি, স্ত্রী ও পরিবারের মায়ায়। আটকে আছি, মমতাময়ী মায়ের স্নিগ্ধ শাড়ির দরদ মাখা আচলের ঘ্রাণে।
নীলা: কবি, তোমাকে আজ খুব বেশি বিদ্রোহী মনে হচ্ছে?
কবি আজাদ: হ্যাঁ, আমি বাহিরে কবি কিন্তু ভিতর থেকে ভিষণ বিদ্রোহী, উদ্দাম সৈনিক।
নীলা: আচ্ছা, এই বিদ্রোহের মানে কী ? আপনি চাচ্ছেনই বা কী?
কবি আজাদ: আমি চাই,
সকল অপশক্তির কালো হাত দুমড়ে মুচড়ে যাক,
অত্যাচারীর রাজপ্রাসাদ চুরমার হয়ে যাক।
সকল মিথ্যা,অন্যায়, অবিচার, ধূলিস্যাৎ হয়ে যাক সমস্ত পৃথিবী থেকে।
নীলা: এমনটা হলে কতই না ভালো হতো ! সেটা কী আদৌ সম্ভব ?
কবি আজাদ : তুমি, আমি, এবং আমরা সবাই চাইলেই সম্ভব।
একদিন এই অপরুপ ধরণীতলে শান্তির রাজ কায়েম হবে।
মানবতার উজ্জ্বল পতাকা উড়তে থাকবে সগৌরবে।
প্রতিষ্ঠিত হবে সাম্য,ন্যায় ও শান্তি ও প্রগতির সমাজ।
শাহজাদপুর, সিরাজগঞ্জ।
রচনাকাল: ২৫ জুলাই ২০২৪ ইং