খাব,খাব, আমি সব খাব,
বন খাবো, জঙ্গল খাব।
রাস্তাঘাট,পুকুর খাব।
সরকারি সব জমি খাব,
খেলাধুলার মাঠ খাব।
গ্রামগঞ্জ,আর শহর খাব,
সোনা রুপার মোহর খাব।
গরীব মানুষের ঘাড় খাব,
রক্ত,মাংস হার খাব।
ক্ষুধায় আমার আসমান জমিন তুলকালাম।
ক্ষুধায় আমার ভিতর বাহির বিফলকাম।
অসহায়দের বাড়ি খেলাম,
বস্তি পাড়ার ঘর খেলাম।
শ্রমিকদের আহার খেলাম,
উচু উচু পাহাড় খেলাম।
গ্রামগঞ্জের নদী খেলাম,
কাড়ি কাড়ি টাকা খেলাম।
কত রকম গাড়ি খেলাম,
বিধবাদের শাড়ি খেলাম।
তবুও আমার সাধ মেটে না,
তবুও আমার ক্ষুধা মেটে না।
কতশত ব্রীজ খেলাম,
এসি আর ফ্রিজ খেলাম।
বিল্ডিংয়ের রড খেলাম,
মসজিদ ও মন্দির খেলাম।
ইট,বালি,খোয়া খেলাম,
বেরি বাঁধের মাটি খেলাম।
তরুণদের মাথা খেলাম,
কত লোকের স্বপ্ন খেলাম।
তবুও আমার মন ভরে না,
তবুও আমার ক্ষুধা মেটে না।
আমার দিকে কেউ তাকালে,
আমি তার চোখ খাব।
আমার নামে কেউ লিখলে,
আমি তার কলম খাব।
চন্দ্র,সূর্য তারকা খাবো,
শুক্র, মঙ্গল গ্রহ খাব।
আমার ক্ষুধা না মিটলে
নিজের মাথা নিজেই খাব।
তবু যদি আমার মন ভরে,
তবু যদি আমার পেট ভরে।
গতরাতে কেউ স্বপ্নে এসে,
বললো আমার পাশে বসে।
ওসবে ক্ষুধা হবেনা ভাটি,
খেতে হবে কবরের মাটি।
রচনাকালঃ জানুয়ারি-২০২৩ ইং ভৈরব, কিশোরগঞ্জ।