কাজ শেষে সবাই গেল দেখতে
বিখ্যাত সেই কাল ভৈরবের মূর্তি,
যার পাশ দিয়েই বয়ে চলেছে
বিখ্যাত সেই তিতাস নদী ।

ঘোরাঘুরি শেষে সবাই অস্থির ক্ষুধার জ্বালায়,
আর তাই সবাইকে নেয়া হল হোটেলে
হোটেলটি ছিল কুমার শীল মোড়ে,
নাম তার ক্যাফে আব্দুল্লাহ ।

হয়তো ভাবছেন গল্প শেষ হতে চলল
ছেলেটি ও মেয়েটি কোথায় হারালো,
হারায় নি তারা দুজন তখনো,
হারায়নি তাদের মনও ।

যা ঘটার ঘটে গেল এখানেই,
তারা দুজন দুজনের মুখোমুখি বসে,
মেয়েটির বান্ধবী বসা তার পাশে ।
আলাপ হল তাদের তিন জনের,
জানা গেল বান্ধবীর বাড়িও সেখানে ।

আলাপচারিতার এক পর্যায়ে,
ছেলেটি চেয়ে বসে তার বান্ধবীর নাম্বার,
কিন্তু ভাগ্যের কি নির্মম পরিহাস
বান্ধবীর ফোনের নেট না থাকায়
সেই মেয়েটিকে দিতে হল তার নাম্বার ।

ছেলেটির সাথে এখানেই শেষ হয় কথা,
এরপর আর দেখা যায় নি তাকে ।
মেয়েটি স্বদলবলে বিদায় নিয়ে
উঠল ট্রেনে আনুমানিক রাত একটায়।

ট্রেনেই রাত গড়িয়ে সকাল হলো
চট্টগ্রাম পৌঁছে সবার ঘুম ভাঙলো,
যে যার যার মত ঘরে ফিরে গেল
মেয়েটিও সাড়ে সাতটায় বাসায় পৌঁছাল।


ঠিক একটু পরেই বেজে উঠল ফোন
কে করল কল এতো সকালে ?
মেয়েটি বলতে লাগল মনে মনে,
সে ছিল গোসল খানায়,
তাই ফোন ধরল তার ছোট ভাই।