ট্রেন ছুটে চলল তার গন্তব্যের পানে,
ট্রেনের সাথে চলল ছুটে তারাও
উদ্দেশ্য তাদের করবে ত্রাণ বিতরণ,
যেখানে মানুষ অসহায়ত্ব করেছে বরণ,
বন্যার জল যাদের সবকিছু করেছে হরণ ।

ছুটছে  তো ছুটছেই ট্রেন দ্রুত বেগে,
চট্টগ্রাম থেকে ফেনী, লাকসাম, কুমিল্লা,
আখাউড়া পেরিয়ে থামল শেষে,
তাদের গন্তব্যের সেই স্টেশনে ।

সময় আনুমানিক দুপুর বারটা ত্রিশ মিনিট,
ট্রেন দাড়ানো স্টেশনে,
অবশেষে প্রতিক্ষার ঘুম ভাঙল সবার,
একে একে নামল সবাই প্লাটফর্মে ।

নেমেই তারা দেখা পেল নতুন কিছু মুখ,
যারা ঠাঁই দাড়িয়ে ছিল অপেক্ষায় তাদের ।
সবাই হাসি হাসি মুখে আর ঘুম জড়ানো চোখে,
অভ্যর্থনা জানালো অথিতিদের ।

শুভেচ্ছা বিনিময় হলো,
হলো মতের আদান প্রদান,
তারপর ব্যবস্থা করা হলো
বিশ্রামের আর আহারের,
আহার শেষে আবার বিশ্রাম ।

এরই মধ্যে আনা হল ত্রাণ
আর ঠিক করা হল প্রদানের স্থান,
সবাই বিকালে আবার মিলিত হল
স্থান হল বিরাশার স্কুলের মাঠ ।

পূর্ণ উদ্যোমে শুরু হল কাজ,
সবাই ব্যস্ত, উদ্দেশ্য একটাই
অসহায়ের মুখে হাসি ফোটানো,
কখন যে বিকেল সন্ধ্যায় গড়ালো,
আলোর রেখা আঁধারে হারালো,
কেউ টেরও পেল না ।


                                       ( চলমান )