এই সমাজ পুরুষকে ঈশ্বর বানিয়েছে,
তার কোনো পাপ নেই, থাকতে পারে না!
ইচ্ছা হলেই সে হাত তুলতে পারে নারীর গায়ে।
হোক না সে স্ত্রী, কন্যা, মাতা, ভগ্নি।
কিংবা নাম না জানা অজানা অচেনা কোনো নারী।
তার যৌন চেতনা জাগাবার অপরাধে দিতে পারে,
আজীবন গৃহবন্দী থাকার ফতোয়া।
অথবা গনিমতের মাল ভেবে,
করতে পারে যা ইচ্ছা তাই!
শুধু ভাবতে পারে না নারীও হতে পারে মানুষ।
তার কাছে নারী মানে শুধুই যোনি!
আজ বাসগৃহে , অফিসে, বাসে,
পার্কে, রাস্তায়,পাহাড়ে,
হাসপাতালে, কারখানায়, টিউশনে,
মসজিদে, মন্দিরে, গীর্জায়,
স্কুল, কলেজ,বিশ্ববিদ্যালয় ও মাদ্রাসায়,
ধর্ষণের দুর্যোগ চলছে।
ধর্ষিত হচ্ছে শিশু, কিশোরী, ছাত্রী,
গার্মেন্টস শ্রমিক, গৃহবধু, গৃককর্মী,
আদিবাসী, ভিখারি ও প্রতিবন্ধী।
ধর্ষিত হচ্ছে মা!
ধর্ষিত হচ্ছে আইন, আদালত, সংবিধান,
ধর্ষিত হচ্ছে রাষ্ট্র!
তাই হাজার- লক্ষবার মানবন্ধন,
মিছিল, স্লোগান, দেয়াল লিখন,
ফাঁসি, ক্রসফায়ার, মোমবাতি প্রজ্জ্বলন,
টকশো, সরকার পতন,সরকার গঠন,
যাই করো না কেন!
যতদিন এই সমাজ পুরুষকে ঈশ্বরের গদি থেকে হ্যাচকাটানে নামিয়ে,
মানুষ বানাতে না পারবে।
ততদিন ধর্ষণ বন্ধ হবে না।
সময় এসেছে আজ,
পুরুষতান্ত্রিকতার কবরের উপর
মানুষতান্ত্রিকতার উদ্যান রচনার।