কি নামে ডাকবো তোমায়?
বর্ষা, কুয়াশা নাকি দীঘির জলে খেলা করা নীল জোছনা?
প্রজাপতির ডানার ক্যানভাসে আঁকা রঙিন আলপনা?
নাকি ডাহুকের চোখের গভীরে ছলছল করা নীরব বেদনা?
শীতের সকালে দাদার চাদরে খুঁজে পাওয়া এক টুকরো উষ্ণতা?
নাকি মরুসাহারায় পথভোলা পথিকের কাতর মুখের তৃষ্ণার তীব্রতা?
কখনো তুমি মেঘের স্নিগ্ধ শুভ্রতা
কখনো নদীর ধারার মত চঞ্চল,
কখনো খুকি র হাতের ছোট্ট সাদা ঘাশফুল
কখনো দখিনা হাওয়ার মত প্রাঞ্জল।
গোলাপের আধ ফোটা কুঁড়ির মত নিষ্পাপ
কখনোবা ভোরের শুকতারার মত উজ্জ্বল,
ক্লান্ত দুপুরে রাখালের বাঁশির মন মাতানো সুর
কিংবা কখনো ছোট্ট ডিঙ্গি নৌকায় আছড়ে পড়া
মেঘনার ঢেউয়ের অদ্ভুত হিল্লোল।
কি হোল, বললে না যে কি নামে ডাকবো তোমায়?
বধূর হাতে বোনা তালপাতার পাখার কোমল বাতাস
নাকি শিশুটির মায়ের আঁচলে মুখ লুকানো দুষ্টু হাসি
কপোতাক্ষের নির্মল জল, পদ্মার মাঝে হঠাত কালবৈশাখী আকাশ
নাকি প্রেমিকের ডায়েরীতে শুকিয়ে যাওয়া গোলাপ পাপড়ি
নাকি তুমি স্নিগ্ধ মলিন , প্রেমিকার যত্নে গাথা শিউলি মালা?
অথবা রাতের আকাশে তোমার আমার গুনতে থাকা তারার মেলা?