জননী আমার বহুযুগ আগে
একদা কণ্ঠে পরম চুমোয়
এঁকে দিয়েছিলো হীরের মতো
জ্বলজ্বলে কিছু বর্ণমালা,
অবিনাশী সেই বর্ণমালারা মগজের কোষে,
অস্থি-মজ্জায়,লাল শোণিতের প্রতিটি কণায়
উদ্দাম নেচে দিবা-নিশি এক
সম্ভাবনার দামামা বাজায়।
অযুত বক্ষে অলক্ষ্যে হয়ে সংঘবদ্ধ
কখন হয়েছে সংহারী এক অস্ত্র
কেউ তা জানতে পারেনি-
কিছু বুঝি তার জেনেছিলো শুধু
একগুঁয়ে আর সন্ত্রস্ত শাসক গোষ্ঠী
বুনো উল্লাসে পিশাচ নখরে তুলতে চেয়েছে
সত্তার সাথে মিশে যাওয়া সেই
অক্ষরগুলো এক লহমায়।
কিন্তু তাদের নোংরা নখর হয়তোবা ভুলে
তুলে এনেছিল আগাম তাদের সমাধিভূমির
কিছু মৃত্তিকা,
জননী তোমার শান্ত ছেলেরা নিমেষে ছিঁড়েছে
গায়ে চেপে বসা কালের খোলস-
অমিত সাহসে ফুঁসে উঠে তারা
এক ঝটকায় খুলে ফেলেছিলো
আরাধ্য সেই লাল ও সবুজ তীর্থঘরের প্রথম দুয়ার।
আর সে বর্ণমালারা আজকে
লাল সবুজের সীমানা পেরিয়ে
ছড়িয়ে পড়েছে সারা পৃথিবীতে
দেশ থেকে দেশে, গোষ্ঠী জাতি
বা ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে।