নয়া এক ডাক্তার আমাদের পাড়াতে
চেম্বার খুললেন খুব কম ভাড়াতে
সদ্যই পাশ করা ছোকরা সে ডাক্তার
কদাচিৎ রোগী পান, নেই নামডাক তার।
যখন সে ডাক্তার দু একটি কল পান
মুখে তার হাসি ফোটে, শরীরেও বল পান
পেপারটা পড়ে আর মশা-মাছি তাড়িয়ে
যাচ্ছিল ক্রমে তার উৎসাহ হারিয়ে।
একদিন ডাক এল পাড়ার এক বাড়িতে
যেতে হবে পারা যায় যত তাড়াতাড়িতে
পেটে নাকি ব্যথা রোগী পারছেনা নড়তে
পরীক্ষা কাছে তবু পারছেনা পড়তে।
সহকারী সাথে নিয়ে চড়ে ভ্যান গাড়িতে
ছুটলেন ডাক্তার রোগীটির বাড়িতে
বিব্রত ডাক্তার– খোদা করো রক্ষে
দেখবো কি রোগী আমি নাকি তার রোগকে!
আঠারো কি উনিশের এক রূপসী মেয়ে
আড় চোখে দেখছিল ডাক্তারকে চেয়ে
ডাক্তার হার্ট-বিট দেখে এক মিনিটে
বুঝলেন নিজ হার্ট নেই আর লিমিট-এ
এরপর কানে দিয়ে পরীক্ষা-যন্ত্র
দেখলেন হার্ট লাং পরিপাকতন্ত্র
কোন ত্রুটি মিললনা ‘অস্কালটেশনে’
সমস্যা খুঁজলেন ‘ডিপ পালপেশনে’
সারা পেট চেপে কোন প্রব্লেম পান না
তবু হাল ছেড়ে দিতে ডাক্তার চান না
‘ব্যাথা পেলে বলবেন’ এই বলে ডাক্তার
রাখেন রোগীর পেটে পুনরায় হাত তার
যেখানেই চাপ দেয় রোগী বলে ‘লাগছে’
চিকিৎসকের মনে আতংক জাগছে-
ডাক্তার ডাক্তারি বিদ্যেটা হাতড়ায়
আর ভাবে পার পাই ক্যামনে এ যাত্রায়!
শেষে তিনি বললেন হয়ে কিছুটা গরম
‘লাগছেতো বুঝলাম, তবে সেটা কি রকম?’
খানিকটা চুপ থেকে রোগীনি অবশেষে
বললেন ‘ভালো লাগে’ একটুখানি হেসে।
ডাক্তার ঘেমে ওঠে বাড়ে তার টেনশন
কাঁপা হাতে কোন মতে লেখে প্রেসক্রিপসন
সেই থেকে কি যে হল কে জানে বারেবারে
সেই রোগীকেই দেখা যায় ঐ চেম্বারে
পরে যাহা ঘটেছিল অনেকেরই তা জানা
আমি জানি সবটাই, বলে দেবো? –না না না...