দুইটি বিড়াল খুব আদরে আমার বাসায় থাকে
গিন্নি ও তিন কন্যা তাদের চোখে চোখে রাখে
একটা হল হলুদ-সাদা একটা সাদা-কালো
বলা কঠিন দেখতে এরা কে কার চেয়ে ভালো
সাদা-কালোর নাম হল পিউ হলুদ-সাদা টিনি
ওদের বাবার নাম জানা নেই মায়ের নামটি মিনি
এদের পেয়ে কন্যাগণের নেই যেন কোনো হুঁশ
আদব-কেতা তালিম দিয়ে করছে এদের মানুষ
দেখতে এরা কিউট হলেও স্বভাবে খুব পাজি
দুষ্টুমিতে ব্যাস্ত, কাজে হয়না মোটেই রাজি
অফিস থেকে ফিরে সেদিন জুতো জোড়া খুলে
বলি, “ টিনি, যাও ও দুটো রাখো ঘরে তুলে”
খুব উৎসাহে ফিতে ধরে করলো টানাটানি
পরে দেখি একটা ফিতে হয়েছে তিন খানি
ঈদের ছুটি সবাই মিলে যাবো গ্রামের বাড়ি
ওদের থাকা-খাওয়া নিয়ে চিন্তা হল ভারি
থাকার জন্য বারান্দা আর গারেজটাতো আছে
বলি, “পাকা আম ও কাঁঠাল খেও উঠে গাছে”
কিন্তু তাদের এই সমাধান হল না পছন্দ
কন্যারা এ সমাধানের করলো নিন্দে-মন্দ
সম্মিলিত প্রতিবাদ ও তুমুল আপত্তিতে
বাধ্য হলাম রায়টা শেষে বাতিল করে দিতে
আলোচনায় ঠিক হল যে খাই-খরচা বাবদ
তাদের হাতে দিতে হবে তিনশো টাকা নগদ
পছন্দসই খাবার তারা খরিদ করে খাবে
ঘর পাহারা দেবে এবং গ্যারেজে ঘুমাবে।
বিড়াল পোষায় আছে বিড়ম্বনা ও ঝামেলা
তাই শুধু নয় ক্যাশ টাকারও খরচ আছে মেলা।