শুভ্র মেঘের ছায়ায় কাশফুল দিন-
শরৎ-বাতাসে মাখা পুজোর সৌরভ, বল্গাহীন
জীবন; কত যে আয়োজন পুজো ঘিরে-
পুজো বাড়ির বর্ণিল বারোয়ারি ভিড়ে
মিশে যায় পুণ্য প্রার্থী কত শত মুখ,
চঞ্চল সে সব দেহস্রোত এক অন্তহীন সুখ
মেখে মণ্ডপে মণ্ডপে হাঁটে-
আহা দিনগুলি কি দারুন কাটে!
সদ্যই যৌবন ছোঁয়া ছেলেটাকে
প্রতিমা, প্রসাদ-প্রলোভন তেমন কি ডাকে?
অর্ঘ্য, আরতি অথবা উম্মাতাল সে ধুনুচি-নৃত্য
স্বপ্ন বিলাসী যুবক-চিত্ত
খানিক আপ্লুত করে, পুরোপুরি নয়;
অচেনা আকুতি বুকে তার উথাল-পাথাল বয়!
দেবীর ঔজ্জ্বল্য ম্লান ক’রে যে মুখ প্রতিমার পাশে
দৃশ্যমান, হয়তোবা কিছু জানে না সে-
তার অনন্য কিশোরী রূপে যে কখন
খুন হয়েছে যুবক এক, নিতান্তই সাধারণ-
সীমিত সাহস পুঁজি ক’রে-
এলোমেলো যুবক একাকী মণ্ডপে মণ্ডপে ঘোরে
সীমাহীন সাধ বুকে নড়েচড়ে তার
সেই কিশোরীর হাতে একবার হাতটি রাখার।
তারপর কত রাত-দিন
মহাকালে হয়েছে বিলীন।
এখনও কাশফুল দিন ফিরে আসে
পুজোর মাতাল গন্ধ ওড়ে যে বাতাসে
পুজোর মিছিলে ধীর পায়ে হাঁটে এক প্রৌঢ় লোক-
ঠিক যেন দেবী নয় তার প্রাচীন দু’চোখ
ইতি-উতি খুঁজে ফেরে অন্য কোনো মুখ
ফিরে পেতে অতীত গহীনে এক হারানো অসুখ।