তোমাদের এ বহুতল ভবন বিশাল ইমারত আর প্রাচূর্য্যের বিষয়বৃত্তেই তুমি পরে থাকো,
ফুটপাতের মানুষগুলোর পাশে তুমি এসো না।
আমি দিনমজুর রিকশাওয়ালা চাষাভুষা,
আমার গায়ে কাঁচা মাটির উৎকট গন্ধ, হৃদপিন্ডে ধুলো বালির পয়লেস্তর
উদরে ক্ষুধার দানব চেপে উঁইপোকার সাথে বসবাস।
এখানে ঘূণেধরা ভাঙা চৌকিতে ছারপোকার কাঁমড়ে
তোমার ঘুম হবেনা,
এখানে কাঁচামাটির ঘরে কেরোসিন শিখা বিদঘুটে অন্ধকার চারিদিকে
অসুস্থ বাবার খকখক কাশিতে
তোমার ঘুম হবেনা।
এখানে মাঝরাতে শেয়ালের ডাকে তোমার ঘুম ভেঙে যাবে,
হয়তোবা টিনের চালা হতে তোমার গায়ের উপর ধপাস করে পরে যাবে কতক টিকটিকি
কতক তেলাপোকা হয়তো টেনে যাবে তোমার চুল
তোমার ঘুম হবে না ,
তুমি ঘুমোতে পারবেনা।
এখানে জলের ফোয়ারা নেই,
হয়তোবা মজাপুকুরে নাক চেপে ডুব দিতে হবে,
নয়তো ক্যারক্যার করা ভাঙা টিউবওয়েল চেপে চেপে হাতে ফোঁসা পড়বে,
উনুনে লাকড়ি ঠেলে ঠেলে ধোঁয়ায় চোখ লাল হবে,
কখনো মোটা চালের ভাতে গলা খেঁচানো কচুশাক আর লাউ পাতা ভর্তা খেতে হবে,
তুমি বাঁচতে পারবে না।
ভরদুপুরে ঢেঁকিতে ধানভানা, এক কাপড়ে মাস তিনেক পার
আর পাবে সস্তা কতক কসমেটিক।
শীল পাটায় মরিচ দলে হাত জ্বলবে সারারাত
তুমি ঘুমাতে পারবেনা।
তবুও রাতের তিন ঘণ্টা আমার,
তুমি কি বাঁচবে ?
যদি এসব পারো, তবে সিন্ধুকে লাথি মেরে ঝাঁপ দাও একবুক সাচ্চা ভালোবাসার অর্ণবে।