তোমার নির্লিপ্ত মৌবনে আমার দীপ্ত পথ, হেঁটে যাই ছপছপে তন্বী নদীর মতো
যেমন করে কাঞ্চনজঘার ঠোঁট বেয়ে নেমে আসে সর্পীল সরিৎ।
যবের খোলসে মোড়ানো সুপ্ত সুখগুলো তোমার কবোষ্ণ পরশে পটপট করে ফুটে উঠে
আমি মৌমাছি নয়,
মৌচাষী হই তোমার মধুর মোহে।

ওগো সুপ্তোত্থিতা,
আমার প্রাচুর্য রুটি মদ গীটার সবই নিমেষে জং ধরে যায়
তোমার দুফোঁটা  তাতানো মধুর সৌরভে।
সে সৌরভ বিধ্বংসী  সর্বশূচী,
স্রষ্টার আরশ পোড়াতে গিয়ে কুড়িয়ে আনে একটি ফুল
আমি খন্ড প্রলয়ান্তে আগ্নেয় লাভায় কঙ্কাল হয়ে ফিরি।


___