তোমাকে পাইনি বলে, পুরোনো ক্ষত লবণ ছিঁটিয়ে জীবন্ত রাখতে চাইনি,
চাইনি রঙিন নেশায় নিজেকে ডুবিক রেখে,
আহত মাছের মতো খাবি খেতে।
কখনো হয়ে যাইনি,
আবেগের গ্যাসভর্তি প্রেমের সিলিন্ডার বিস্ফোরণে ক্ষতবিক্ষত।
কখনো থমকে যেতে শিখিনি লাইনচ্যূত ট্রেনের মতো,
ভেবেছি পরের স্টেশনে কেউ হয়তো আমার অপেক্ষায়।
তবুও তোমার কম্পনরত ঠোঁট,
যবের ডগায় শিশির বিন্দুর মতো চোখ,
আর গিরিচূড়া হতে আঁছড়েপরা জলপ্রপাতের মতো তোমার চুলের ঢেউ,
আমাকে আহত করে,
যেন এক সুউচ্চ দ্বীপের কতক সবুজবৃক্ষ দুমড়ে মুচকে দেয় আগ্রাসী নোনাজল,
আমি ক্ষয়ে যেতে থাকি কোরালে জমে থাকা শৈবালের মতো।
মনেহয়,আমি যেন এক দন্ডিত ফাঁসির আসামী,
ডেথলেটার হাতে কনডেম সেলের অন্ধগারদে বসে,
বিচলিত হয়ে একটুকরো চাঁদের আলো খুঁজি।
শুনছি,
প্রতিরাতে তুমি, জানালার গ্রিলধরে চাঁদের সাথে কথা কও।