শীতলক্ষ্যার বুকে,
পাড়ে বাঁধা নায়ে নিসঙ্গ বসে আছি
বিকেলের কাঁচা রোদ মেখে।
কালোমেঘের আঁড়ে উঁকি দেয় ক্লান্ত তপন,
অঝর বর্ষণে
স্মৃতি মুখর রুমাঞ্চিত ক্ষণ।
প্রবল বর্ষণ তোড়ে,
শীতলক্ষ্যার ঘোলাজল
আঁছড়ে পড়ে তীরে।
উত্তাল তরঙ্গে নেচে চলে নাওখানি,
হৃদয় মুচড়িয়ে দেয়
বিষন্নতার দোলানি।
স্রোতের টানে ভেসে চলে উদাসী কচুরিদল,
শরতের পড়ন্ত এ বিকেলে,
আহা কি মেঘের ঢল।
ওই পাড়ের গাঁ গুলি যেন শুভ্র সমতল,
ঝড়ো বৃষ্টির উত্তাল ঢেউয়ে,
নায়ে আসে জল।
স্তব্ধ হয়ে গেছে বিহঙ্গের কোলাহল,
পাটাতনের উপর বসে,
নাচে ব্যঙের দল।
ঘনমেঘ ফেঁড়ে আসে রৌদ্রের ঝিলমিল,
ভেজা পায়নায় উড়ছে তবুও
ক্ষুধার্ত গাঙচিল।
ডিঙি নায়ে ভিজে ভিজে মাছ ধরছে জেলে,
গামছা পরে লাফালাফি,
দুরন্ত কতক ছেলে।
ভেজা শাড়িতে ওই পাড়ে নববধূর দল,
রক্তপদ্ম লয়ে তারা,
করছে কোলাহল।
ক্ষণপরে ধীরে ধীরে অস্তচলে রবি,
তিমির এসে জমলো পাড়ে,
থেমে গেল সবি।
স্মৃতির পটে মলিন হল মধুময় এ ক্ষণ,
আমিও কখন বিলীন হব,
কেঁদে উঠে মন।
-সংশোধিত