জীবন সায়রের উত্তালস্রোতে,
ভেসে চলা আমি এক,
নিঃসঙ্গ শ্যাওলা।
ক্ষিপ্র বীচির লহরে ভেসে ভেসে দলিত।
আমার অতিকায়,
ক্ষুদ্র শাখা।
অনিরুদ্ধ বাসনাসকল, ধুয় গেছে,
কল্লোলিত উন্মাদ,
নোনাজলে।
রুগ্ন মৎসের ন্যায় ভেসে ভেসে,
খাবি খাই, জীর্ণ সায়রের
নোনাজল।
অভাবের পেষণে আমি এক চূর্ণ শিলা,
পড়ে আছি ধূসর উষ্ণ প্রান্তরে।
যেথায় অঙ্কুরিত হয় না,
স্বপ্নের ভ্রূণ।
ফুটিলো না ভালবাসার ফুল,
ছড়ালো না মুক্ত
পরিমল।
প্রাতের তেজস্বী অরুণ,
বিবর্ণ ধূসর পাটে।
জীবন গগণে দুস্তর কালোমেঘের ঘনঘটা,
কালবৈশাখী রৌদ্র ছায়া।
ধূসর বিরান তপ্ত প্রান্তরে,
আমি এক ক্লান্ত
পথিক।
অনবরত অনল বর্ষণে পোড়ে পোড়ে,
খাক হিয়ে।
দুঃষহ যাতনার উন্মাদ দানব,
নির্বাসন দিয়েছে মোরে,
কোন এক অনলপুঞ্জে।
আমা হতে আর ফুটিলো না বুঝি,
মানবতার কোমল
ফুলটি।
---০----