লাশটি তখনো অর্ধগলিত,
প্রচন্ড রৌদ্রের প্রখর রোষে কদর্য তনু ,
বংশাইয়ের ক্ষীণস্রোতে,
ভেসে যাচ্ছিল সেই অর্ধগলিত যুবক ।
হস্তপদের নখর উপড়ানো,
দুটি অক্ষিতেই,
বিদ্ধমান দুটি সিরিঞ্জ !
রশির রুক্ষ বন্ধন, তখনো আঁকড়ে
রেখেছে অর্ধগলিত
লাশটি ।
সাদা শার্টের রক্তের দাগ, তখনো
ধুয়ে যায় নি !
সূক্ষ্ম ব্রেডের তিক্ষ্ম আঁচড় সর্বাঙ্গে,
ক্ষততস্থলের নিঃশ্রিত চর্বির,
ঈষৎ দুর্গন্ধ ।
কে এই যুবক ?
তারপর একদল লোক রশি ধরে,
টেনে হিঁচড়ে....,
"ও এতো ফকির সাহেবের সেই ছেলেটি,
এ মহল্লার ন্যায়বাদী রবি "।
কোনো আতাতায়ী
হয়ত.....
অর্ধগলিত ছেলেটি বুকে জড়িয়ে
চাঁদমুখে চুমো
খাচ্ছে মা ।
গলিত লাশের উৎকট দুর্গন্ধে ভরপুর
এলাকা ।
কেউ নাকে রুমাল, কেউ বা আঁচল চেপে
এক নজরে দেখে, থুঁতু ফেলে,
চলে যাচ্ছে ।
একি পরিহাস ! কেউ তাকে আগের মত
ভালবাসে না।
যে যুবকটি দু'দিন আগেও, এ গ্রামবাসীর
ন্যায্য অধিকারের তরে,
নির্বিঘ্নে লড়েছে,
আজ সে লাশ !
তাই বুঝি ঘৃণায় সবাই সরে যাচ্ছে ?
ক্ষুদ্র গ্রাম পুলিশ হতে,
প্রশাসনের সর্বোচ্চ শিখরে পৌঁছে ছিল,
নিরীহ বৃদ্ধ-বৃদ্ধার ন্যায় বিচারের
করুণ আরতি ।
কিন্তু কেউ দেয়নি, একফোঁটা অশ্রুর
নিঃস্বার্থ মূল্য।
তবে ন্যায়বাদীর মূল্য কোথায় ?
প্রশাসনের কেউ খুঁজে নি আতাতায়ীদের
তবে কি এরাই আতাতায়ী ?
প্রশ্ন জাগে মনে ।
----০----
রচনাকালঃ১২/০২/২০১৫ ইং