আজও নিষুতি কালরাতে, জেগে ওঠে,
সেই পঁচিশের হায়েনারা,
মায়ের কোমল কলিজায়, জ্বেলে দেয়,
বারুদের দুঃসহ্য অনল,
অস্পর্শা বোনের সম্ভ্রম লয়ে খেলে যায়,
শকুনী ব্যবচ্ছেদ ।
নর্দমায় ভেসে থাকা বেওয়ারিশ লাশের,
উৎকট দুর্গন্ধ,
স্বাধীন কেতন তলে বিলুপ্তপ্রায়
মুক্ত পবন ।
দুর্নীতির সারে তড়তড়ে বেড়ে ওঠে,
আধমরা রাজাকার,
প্রতিহিংসার রাজনীতিতে শ্বাসরুদ্ধ
নিরীহ জনতা,
এরই নাম কি স্বাধীনতা ?
বিধ্বস্ত ধ্বংসস্তুপে, বারুদের গন্ধ শুষে,
জন্মলয় পঙ্গুশিশু,
ত্রিশ লক্ষ রক্তস্রোতে, ধুয়ে যাওয়া
এ বাংলায়।
নিশীথের আঁধারে কিলবিল করে জেগে,
জোঁকের মত রক্তশুষে খায়
সাধারণ জনতার ।
ওরা কারা ?
ওদের হস্তেই লাঞ্চিত হয়,সভ্যতার বিবেক
অসহায় শিশু কুকুরের ন্যায়,
পড়ে থাকে রাস্তায়,
ন্যায় বিচার মাথা ঠুকে, মিথ্যার পাষাণে,
এরই নাম কি স্বাধীনতা ?
ওরা মাতৃভূমির কুলাঙ্গার,
ওরা বুভূক্ষু শকুন, গোগ্রাসে খাচ্ছে
এ স্বাধীনতা।
কে করবে ওদের দমন ? কি সেই চেতনা?
কই ? আজও তো জাগ্রত হলোনা ?
বৃদ্ধামাতা, মাটির ঘরে নিভু নিভু প্রীদিম
জ্বেলে ডাকে,
"আয় রে আমার,বাহান্ন একাত্তুরের
দামাল ছেলেরা",
আর একবার বাঁচা দেশ,
বাঁচা এ স্বাধীনতা ।
-------০-------
রচনাকালঃ০৮/০২/২০১৪ ইং