আমি এলোকেশী নজরুল,
ন্যায়ের তরে, কণ্ঠে ঝরে
মোর অগ্নিঝরা বোল ।
শোষনের নাগপাশ কাটাই, দুঃশাসনের সর্বনাশ
ঘটাই,
দুর্নীতির তরী ঝাঁকি দিয়ে ডুবাই,
কাঁপাই অত্যাচার সিন্ধুর,
দু' কূল,
আমি এলোকেশী নজরুল ।
আমি থমকে থমকে , চমকে দাড়াই,
আমি স্রষ্টা বিনে, কাহারে
নাহি ডরাই,
ঝঞ্ঝার সাথে, চলি ন্যায়ের পথে, জানি বিধাতা,
মোর ন্যায়ের রথে ।
ব্যবিচার রুদ্ধ করি,
অন্যায়কে স্তব্ধ করি,
মোর ভাবনার কর্ণে দুলাই,চির বিশ্বমুক্তির দুল,
আমি এলোকেশী নজরুল ।
গাহি অনাথ অসহায়ের, চির মুক্তির গান,
ন্যায়ের তরে, কণ্ঠে তুলি,
বিদ্রোহী তান ।
দুর্বলের পাশে দাড়াই, সত্যের তরে লড়ে বেড়াই,
টেঁনে টেঁনে ছিঁড়ি,
অন্যায়ের কালো চুল,
আমি এলোকেশী নজরুল ।
উঁপড়ে দিই,
জুলুম আর অত্যাচারের নখর থাবা,
হিল্লোল আর কল্লোলে,
উল্লাসে আর উচ্ছ্বাসে ।
কাঁমড়িয়ে ছিঁড়ি, বদ্ধ খাঁচার রুদ্ধ কপাট,
লাথি মেরে ভাঙ্গি নিয়মের শৃঙ্খল, আমি টগবগে
উৎচ্ছ্বল ।
মিথ্যার রাজ্যে যত অনিয়ম, দুমড়ে মুচকে
করি নির্মূল,
আমি এলোকেশী নজরুল ।
আমি সাম্যবাদী প্রেমের কবি, দুর্দমনীয় ন্যায়ের রবি,
আমি শোষিত মানবের,
তেজস্ক্রিয় প্রতিবাদ,
দুর্বলের তরে মোর,চির প্রশস্থ হাত ।
আমি চিরকাল ব্যাপিয়া, বাঁচিয়া থাকিতে চাহি,
চির অসহায় মানবের মাঝে,
এ বাংলার প্রকৃতির ভাঁজে ভাঁজে,
কণ্ঠে লয়ে বাংলা ভাষার, চির অবিনাশী বোল,
আমি এলোকেশী নজরুল ।
যবণিকা
রচনাকালঃ০১/০১/২০১৫ ইং,