পৌষের প্রভাতে, নয়ত ঘোর নিশীথে,
টিনের চালে,গাছের ডালে,
শুভ্র বদন মেলে,জলে কিবা স্থলে,
নৈসর্গিক সুন্দর্য্য ঢেলে,
কে গো তুমি এলে ?
টপটপে ঝরেপরো,প্রকৃতিকে সিক্তকরো,
ধরার বুকে এঁকে দাও,
সজীবতার রাজটীকা
ওহে কুহেলিকা।
মৃদুমলয়ে ভর করে,উড়ে যাও
কোনসে দূরে,
পত্রপল্লব সিক্ত করে,
তপনের তাপে,পড়ো ঝরে।
দূর্বাঘাসে শিশির দানা,মুক্তরূপে আনাগোনা,
হিম হিম পরসে,
নাচে হিয়া হরষে,
এ হৃদয় হয় যেন,উম্মাদ প্রহেলিকা,
ওহে কুহেলিকা।
তীব্র শীতে,মৃদুমলয়ে মেতে,
প্রকৃতির মাঝে,
অপরূপ সাজে,
হিম হিম হাওয়া, এ যেন পরম স্নেহে,
প্রকৃতির নাওয়া।
ঝির ঝিরে পবনে,হিম হিম ক্ষণে,
আনমনা হয় মন,
হয় হেঁয়ালীকা,
ওহে কুহেলিকা।
গ্রামের পথে ঘাটে, নয়ত দিগন্ত মাঠে,
তটনীর দু' কূলে,
খালে বিলে,ঝিলে,
পূর্ণতায় মগ্ন যেন,শুভ্রতার মিছিলে।
হিম হিম পরশে,
ফুটে ফুল সরষে,
শীত শীত লাগে যেন সারাটিক্ষণ
প্রিয়ার উষ্ণ পরশ,
যাচে তাই মন।
উন্মাদনায় মত্ত হিয়া,সুরের লহর পরশিয়া,
লিখে যায় অমর গীতিকা,
ওহে কুহেলিকা।
ঘন কুহেলিকার দল,যেন সীমাহীন আদরে,
সাগর, নদী, অদ্রি-গিরি তীরে
রেখেছে ঘিরে,
ভালবাসার পরম চাদরে।
ওগো তুষার কন্যা,
কে গো তুমি ?
তোমার তরে,হৃদ প্রাণ উজার করে,
সহস্র কবি লিখিলেন,অজস্র অবিনাশী কবিতা,
ওহে কুহেলিকা।
প্রতিবছর নায়র আসো,পৌষ কিবা মাঘ মাসে,
মিষ্টি মধুর পিঠা খাও,
মত্ত থাকো খেজুর রসে।
কে তোমারে,দেয় গো
নিমন্ত্রণ ?
কাহার লাগি তুমি,করো আগমন ?
হয়ত ধনীর দুলালী তোমায়, নিমন্ত্রণ করে,
গরীব চাষার ছেলে,
তোমার থাবায় মরে।
তবুও তোমায় ডাকি,নবদিনের বারতা নিয়ে,
মুছে দিয়ে যাও সব,
প্রকৃতির জীর্ণতা,
মুছে দিয়ে যাও সব,হিংসা, অহংকার, পাপ,
এক হয়ে যাক সব,
আশরাফ, আফতাব।
পড়িয়ে দাও সবার শিরেতে,ঐক্যের জয়োটীকা,
ওহে কুহেলিকা।
------০------
রচনাকালঃ২৫/১২/২০১৪ ইং