যেদিন ক্ষীণ ঝড়ে নিভে যাবে তোমার,
সুখের প্রদীপখানি,
সেদিন তুমি,
খুঁজবে আমায় জানি।
সেদিন তুমি,
বুঝবে আমায় জানি।
দিবসের প্রভায় চিনলে না যারে,
কেমনে চিনবে তারে,
ঘোর অন্ধকারে,
পরের ঘরে।
দিবসের প্রভায় রেখেছিলে পা,যে নায়,
কখনো কি ভেবেছিলে,
কত গভীর জলের প'রে ,
ভাসিয়ে রেখেছিল,সে তোমায় ?
পাড় হয়ে চলে গেলে,
পদে দলে,বারেক তাকাওনি কভু তায়,
দেখনি কভু কত দুঃসহ্য দগ্ধতায়,
ভরে ছিল সেই নায়।
যে পুষ্পটি তুলে,খোঁপায় বেঁধেছিলে,
কখনো কি শুনেছিলে তার,
করুণ আরতি ?
কত নোনাজল শুষে ফুটেছিল,
সে পুষ্পের বৃতি।
তুমি চলে যাবার সময়,তোমার তরে,
বিরহী ঝড়ে,
এ মনকে,
পুরানো খাতার মত,কুঁচি কুঁচি করে,
কতটা টুকরো করেছো,
জান কি ?
কতটা বিষ কাঁটার আঁচড়ে,
কতটুকু ক্ষত বিক্ষত করেছিলে মোরে,
মনেপড়ে কি ?
তুমি সুখেই থেকো, কোন এক স্বর্গপুরে।
কভু কষ্ট পেলে,
কভু দুঃখ এলে,
দু' ফোঁটা অশ্রু ফেলো,আমায় মনে করে,
তবেই একটু শান্তি পাবো,
মাটির অন্ধঘরে।
------০------
রচনাকালঃ০৫/০৮/২০১৪ ইং