ওগো,প্রাণের প্রিয় জন্মভূমি বাংলা মা,
তোরে এত ভালবাসি তবুও
কেন স্বাদ মেটেনা?
এত হাসি,এত কাঁদি, তোর বক্ষেতে নিরবধি,
তবুও কেন পূর্ণ হয়না মোর,
বক্ষের তৃষিত নদী।
দুগ্ধস্রোতোবহা তোর,অজস্র নদীর জল,
তাহাই পিয়ে তৃষিত হিয়ে,
খুশিতে ছলছল।
দিয়েছিস আশার ডালি ভরে,কত ফুল ফল,
শত নির্ঝর তটনীতে মিশে,
খেলে কলকল।
রিক্ত নয়ন ভরে দিয়েছিস,শ্যামলীমা সবুজ অরণ্যে,
মুক্ত পবনে বাঁচিয়ে রেখেছিস,
সীমাহীন তারুণ্যে।
মনের ভাব প্রকাশিতে, পেয়েছি বাংলাভাষা,
তোর তরে মরতে শিখেছি,
পিয়েছি মরার নেশা।
তোর মস্তকে কেশ রূপে উড়ে,ওঁই লাল সবুজ পতাকা,
দিয়েছিস কলমে অথই বল,
সত্য লিখার কবিতা।
দূর গগণকে আঁচল বানিয়ে, ঢেকে রেখেছিস সন্তানদের,
দিয়েছিস অসীম শক্তি সাহস,
শিকল ছিঁড়িতে অনিয়মের।
নির্জন অরণ্যে দিয়েছিস, মুক্ত বিহগ কলরব,
শিকল ছিঁড়ে ছিনিয়ে এনেছিস,
স্বাধীনতার গৌরব।
মেরুদন্ড শক্ত করে, উন্নত করেছিস শির,
পরম স্নেহে লালন করেছিস,
ষোল কোটি বীর।
তোরি স্নেহে গড়া,বাঙালি মোরা,বিশ্বে চির অদম্য প্রাণ,
শত বুলেট খেয়েও, গাইতে শিখেছি,
বাংলা ভাষার গান।
শত ভেদাভেদ ভুলি,মোদের চিত্তে সাম্যের গান,
মোরা একই গৃহে বসত করি,
সব হিন্দু মুসলমান।
প্রাণের চেয়েও মাগো তোরে, অশেষ শ্রদ্ধা" করি,
তোর বক্ষেতে মস্তক রেখেই,
আমি যেন মরি।
লাল সবুজে ঢেকে দিস মা,জীর্ণ এ দেহখানি,
তোর মাঝেতেই মিশিয়ে নিস মা,
মোর শবদেহখানি।
''''''''''যবণিকা ''''''''''
রচনাকালঃ২১ /০৮/২০১৪ ইং
হলুদিয়া,
মধুপুর,টাংগাইল।