ক্ষুধার রাজ্যে উদরে জ্বলন্ত উনুন,
আর অক্ষিতে ফুটন্ত বারিধারা,
অস্থিচর্ম লেপ্টে থাকা কঙ্কালসাড় দেহে,
বহে জীর্ণ নাভিঃশ্বাস।
দেখিনু একদা,
বড় বড় ইমারতের পাশে ডাস্টবিনে,
উৎচ্ছন্ন উচ্ছিষ্ট লয়ে ,
কুকুরের সনে কাড়াকাড়ি,
কোন এক বুভূক্ষু ভুখারী।
কঙ্কালসাড় জীর্ণ দেহে,লড়িবার শক্তি ম্লান,
কুকুরের সনে লড়ে লড়ে,
বৃথাই পেরেসান।
জুটিল না তবুও, দু'মুটো উচ্ছিষ্টও,
খেয়েছে কুকুরের থাবার আচঁড়,
রিক্ত উদরে, সিক্ত নয়নে,শত ছিঁন্ন বস্ত্র পরনে,
উচ্ছিষ্ট মাখা হস্তে, সরু লাঠি লয়ে,
ছুটে এলো ইমারতের এক প্রসাদ ভজনালয়ে।
মালিক তো অগ্নিশর্মা,
এবার বুঝি,খুকুমনির জন্মদিন ভেস্তে গেল!
এ লজ্জা কোথায় রাখি!
ওরা এসেছে নিমন্ত্রণে,দামী গাড়ি লয়ে,
ওদের মাঝে এ বুভূক্ষু ভুখারী,
যেন এক জীবন্ত কীট।
দারোয়ান বলে"এবার বুঝি চাকুরীটা যায়,
শালার ব্যাটা ভুখারী,
কেমনে এলি এথায়"?
টেনে হিঁচড়ে পদে প্রহার,
অর্ধচন্দ্র দিয়ে ফেলে দিলো রাস্তায়।
ব্যাটা ভুখারী,মুখ থুবড়ে পরে গেল সেথায়।
ঊনপঞ্চাশ বায়ূ বেড়িয়ে এলো,
এবার বুঝি,ব্যাটা জন্মের খাবার খেলো।
সে কি মানুষ ছিল না?
সে কি সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ ছিল না?
তবে কেন তাহার বক্ষে লাথি?কি তার জবাব?
তার বদনে দু'মুটো অন্ন দিলে, কি-ই বা ক্ষতি হতো?
ওদের উঁচু ইমারত রয়েছে,
কিন্তু মনুষ্যত্ব এখনো ধূলায় লুটিয়ে।
এরা দুর্বল বলেই কি,
স্রষ্টাও সহে যাবে আজীবন,
দুঃসহ্য এ অত্যাচার?
"""""যবণিকা """''
১২ ই নভেম্বর ২০১৪ ইং
টাংগাইল, মধুপুর
হলুদিয়া