আচ্ছা,বেশ।
তুমি নিশ্চিত থাকো,
তোমার চাকুরীটা  হলো বলে!

কিন্তু.......................;

হ্যাঁ,এনেছি।
গুনে গুনে নিন,
ভিটে মাটি বিক্রির টাকা!

(বাম হাতে লয়ে)
লেখাপড়া তো বেশ করেছো,
ভালই স্মার্টও বটেও।
চাকুরীটা হওয়ার পর কিন্তু.........;

হ্যাঁ, মনে থাকবে,
বাকি এক লক্ষ।
ওটা,বেতন হতে শোধিবো।

লেখাপড়া করে,
বাপের উপার্জন বিনষ্ট করেছি।
সঞ্চয় যাহা ছিল,
চাকুরীর তরে দ্বারেদ্বারে  ঘুরে,
ইতি টেনেছি।

বড় সাহেব;
চাকুরীটা না হলে,
মোদের পথে বসতে হবে,
পেটের দায়ে  ভিক্ষে মাখতে হবে!
এ লজ্জা সইবো কেমনে?

তবে কি সবে লেখাপড়া করে,
বেকারত্বের তরে?

যদি বাবর সনে,হাল চষিতাম,
তবেও অন্তত এ যুবক বয়সে,
তাদের মুখে,
দু'মুঠো অন্ন দিতে পারিতাম।

বৃদ্ধ পিতা মাতার,মৃত্যুর  আদি,
একটু সুখ দিতে পারিতাম।
যে সুখ তারাঁ পেতে চেয়েছিল,
আমাকে প্রতিষ্ঠিত  করে।

জীবনে কখনো,
দু' পয়সা অসৎ খাইনি,
আজি প্রতিষ্ঠিত  জীবনের,
সূচনালগ্নই বিপরীত!!

তবে কি শিক্ষিতের চাকুরী মানে,
সরল অর্থ দিয়ে,
গরল কিনে পান করা?

আজি চোখ খুলে গেছে মোর।
মুখোশের অন্তরালে,
এটাই বুঝি,
'সভ্য সভ্যতা'!!!

  ''''যবণিকা ''''

রচনাকালঃ০৩/১১/২০১৪  ইং

(আমাদের সমাজে ঘুষের এ চিত্র অহরহ  ঘটছে।যা মুখোশের অন্তরালে ঢাকা থাকে।আমার কবিতায়,তাদের বিরোদ্ধে  তীব্র  প্রতিবাদ ফুটিয়ে তুলতে চেয়েছি।)