বড় ব্যথাতুর হৃদে মুক্তরবে, গেয়ে যাই তাদের গান,
যাদের শ্রমে ফুলে ফসলে,
সাজে অবনীখান।
প্রখর রৌদ্রের খরতাপে,কুচঁকে গেছে যাদের,
মলিন দেহখান,
চিত্তের দ্বার মুক্ত করে,
গেয়ে যাই তাদেরই জয়োগান।
যাদের শ্রমে ঘামে, তিল তিল করে,
ওঠেছে গড়ে,
এ নব সভ্যতা,
ক'জন বলো ভাবে তাদের কথা?
দিনান্তে যাদের জুটেনা'ক, দু' মুটো পান্তাভাত,
অনাহারে অর্ধাহারে,
কেটে যায় রাত!
সুখের রজনী নির্ঘুম কাটে,
ক্ষুধার তপ্ত অনল,যাদের পেটে।
গেয়ে যাই তাহাদেরই জয়োগান,
খ্যাতির মুকুট পদে দলে,লুটিয়ে তাদের পদতলে,
দিয়ে যাই শ্রমের সম্মান।
ওরা বড়ই অসহায়,
তবুও মহত্ব,সত্য ন্যায়ের বীজ,
ওদের হতেই অঙ্কুরায়।
ওদের শ্রমের প্রভায় প্রস্ফুটিত হয়,
সভ্যতার নব দিক,
ওরা সরল,তবুও নির্ভীক,সত্য ন্যায়ের প্রতীক।
ওরা কৃষক, শ্রমিক, শ্রমজীবী,সভ্যতার সংস্কারক,
ওরা কলম খুঁচিয়ে লুটে খায় না,
ওরা সত্য সাধু পুরুষ, সভ্যতার ধার বাহক।
আড়ম্বর পোশাকে, ওরা কারা?
যারা নাক ছিঁটকে যায়,ঘর্মের দুর্গন্ধে?
এ উদার শ্রমজীবীদের পিষ্ঠে পদ রেখে,
উপরে উঠতে চায়,
ওরা কারা?
ওরা লেফাফাদুরস্ত চাপাবাজরা।
ওরা কারা?
যারা লাথিমারে,
এ মহান শ্রমিকদের পেটে?
ওরা নপংশুক, ওদের দাও ছেটে।
ওরে শ্রমিক মজুর আর পড়ে থাকিস নে, ওরে কৃষক উঠে দাড়া,
তোদের পেটে লাথি দেয়, দেখবো এবার কারা।
-----
রচনাকালঃ২৯/১০/২০১৪ ইং