জানিনে,মানুষের  মনুষ্যত্ব,
কোথায় থাকে?
কিসের আবরণে ঢেকে থাকে।

যেদিন মোর হস্তপদ বেঁধে,
অক্ষির সম্মুখে,
গণধর্ষিত হলো মোর,
একাদশী কোমল ছোট বোনটি!
সেদিন কেউ শুনেনি,
মোর করুণ আরতি।

ছোট বোনের পোষা কুকুর,
টুসির চোখেও ছিল অসহায় জল।
সেদিন কোথায় ছিল মনুষ্যত্ব?

বোনের মৃত লাশটি নিয়ে,
দ্বারে দ্বারে  ঘুড়েছি বিচারের তরে।
কই ! সেদিন কেউ তো,
মনুষ্যত্ব দেখায় নি?
অর্থ বিনে কেউ, ময়নাতদন্তও করেনি।
সেদিন কেউ শুনেনি,
মোর দুখী মায়ের অসহায় ক্রন্দন।
সেদিন কোথায় ছিলো  মনুষ্যত্ব?

তবে কি সত্যিই  মনুষ্যত্ব মরে গেছে?

নরপিশাচরা আইনের উর্ধ্বে থেকে,
আমার সনে উপহাস করেছে।
ওরা অর্থ দিয়ে কিনে লয়েছে,
মনুষ্যত্বের আদালত।

আমি ধিক্কার জানাই,
এ নগ্ন সভ্যতার।
যেথায় অসহায়ের বিচার নেই,
অর্থের তরে বিক্রি হয় মনুষ্যত্ব।
আইনের উর্ধ্বে থেকে,
হায়েনারা হয়ে ওঠে আরও তৃষার্ত।

আজি কলম নামের অস্ত্র হাতে লয়ে,
নগ্ন সভ্যতা খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে,
খুঁজে ফিরি,
মনুষ্যত্বের  দেহাবশেষ।

     --------০--------

রচনাকালঃ২৬/১০/১৪ ইং