মাগো, আর কাঁদিসনে
তোর চোখের অশ্রু,
মোর চলার পথকে রুদ্ধ  করে দেবে।

এতো ক্ষণিকের  বিদায় মা,
আবার তোরি বুকে আসবো  ফিরে।

এ প্রবাসে  সবচেয়ে  বেশি,
মাগো তোকেই মনেপড়ে।
আর মনেপড়ে,মোর বিদায়েরর ক্ষণে,
অশ্রু ভেজা বদনখানি,
আর পথব্রজে বিদায়  জানানো স্বজনদের,
আর ফেলে আসা গ্রামটি।

মায়ের চোখের সেই অশ্রুটুকু,
মাটিতে পড়তে দেইনি।

দু' হস্তের তালুতে লয়ে,
মোর বদনে মেখেছি।

তার সেই অমৃত আর্শীবাদী অশ্রুটুকু,
এ প্রবাসে মোর সকল উষ্ণ  পথকে,
শীতল করেছে।

যে মায়ের শীতল পরশ বিনে,
চোখে নিদ্রা হতো না,
যার হস্তের মাখানো ভাত না খেলে,
পেট ভরিতো না,
দু' মুটো অন্নের তরে,পেটের দায়ে,
আজ সেই অমূল্য ধন হতে বহুদূরে,
এ প্রবাসে।

আজ কতদিন হল মা,
দেখিনা মাগো,তোর সোনামুখ খানি,
তপ্ত বুকে মেলে না,
তোর শীতল বুকের ছোঁয়া।
বড় কষ্ট হয় মা,এ প্রবাসে,
তোকে মনে হলে।
সেদিন কেন যেন অনমনা হয়ে যাই,
যেন তুই হাত বাড়িয়ে ডাকছিস
আয় খোকা, "একটু বুকে আয়"।

শ্বাসরুদ্ধ হয়ে,প্রবাস ত্যাগী,
ছুটে যাই মায়ের তরে,
চিরচেনা সেই গ্রামে।

এসে দেখি তার, চশমাটায় ধূলি জমেছে,
বিছানাটাও শূন্য !
শূন্য চোখে ফ্যালফ্যালিয়ে তাকিয়ে আছে,
জায়নামাজ আর তসবিহ।


ওরা আমার অগোচরে,মৃত্তিকায় ঢেকে দিয়েছে,
মোর সোনার প্রীদিম খানি।

আজও মোর হস্তে লেগে আছে,,
মায়ের সেই আর্শীবাদের অশ্রুটুকু,
তবুও  মা বিনে,
আজি আমি সংসার ত্যাগী,
এক  ছন্নছাড়া যাযাবর।

   -------০--------

রচনাকালঃ২৫/১০/২০১৪ ইং