ওগো আমার রক্ত সিক্ত আঁচলময়ী বাংলা মা,
আমাকে অনাথ ভেবে ফেলে যেও না।
বহমান তোমার চলার পথে,
ক্ষীণস্রোত হয়ে মিশেছি তোমার সাথে।
এ আমার  আরাধ্য চিত্তের চিরায়েত পরম পাওয়া,
বিষোসিক্ত শর কন্ঠে বিঁদেও বাংলায় গান গাওয়া ।
তোমাতে মিশেই কন্ঠে সাজাই সত্য ন্যায়ের  গান,
আমি যে তোমার মুক্তিনেশায় হারানো সন্তান।

আমি যে তোমার নবাব সিরাজ তিতুমীর ঈশা খাঁ,
আমি যে তোমার লালন হাছন বিপ্লবী মাস্টারদা।
মাগো,শুধুই তোমার তরে,
বুলেট বিঁদ্ধ বুকে, কতবার যে গিয়েছি মরে।
কতো ইতিহাস এসেছে ঘুরেফিরে  
বাহান্ন উনসত্তুর একাত্তুরে।
কতোবার হায়েনা আঘাত হেনেছে বুকে,
টগবগে স্রোতে রাজপথ  রাঙিয়েছি হাসিমুখে।
                      
কতবারই যে লুটিয়েছি মস্তক হারিয়েছি নীলাভ সম্ভ্রম,
দুগ্ধের শিশু নেতিয়ে ধুলোয় ছাতিফাঁটা দম ।                  
কতবারই যে ভেঙেছে বৃদ্ধ পিতার সবল মেরুদন্ড,
হাসিমুখে বরণ করেছি ক্ষুদিরাম মৃত্যুদণ্ড ।

শুধুই তোমার তরে, হাল কিংবা কলম ছেড়ে লড়েছি মরেছি প্রাণপণে,
বাঁশের কেল্লা হতে একাত্তরের রণে।            
আমরাই উড়াই বিজয় কেতন,আমরাই ঊষার অরুণ,
আমরা যে তোর চিরজাগ্রত চিরবিপ্লবী তরুণ।
শতবার যদি জন্মি গো আমি মরিতে চাই তোর তরে,
রক্তেভেজা আঁচল দিয়ে দাফন করিস মোরে।
                  ---

                          

রচনাকালঃ২৫/০২/২০১৩ ইং